পল্লব হাজরা : সম্ভবত এই প্রথম ভারতীয় টেলিভিশনে একটানা ১২ ঘণ্টার লাইভ গ্র্যান্ড ফাইনাল হল। টানা ১২ ঘণ্টা ব্যাপী বিনোদনমূলক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে শেষ হল সংগীতের অন্যতম সেরা রিয়্যালিটি শো ইন্ডিয়ান আইডল সিজন ১২-র (Indian Idol season 12)। রবিবার ৭৫ তম স্বাধীনতা দিবসের দিন ছিল ইন্ডিয়ান আইডল সিজেন – ১২ এর গ্র্যান্ড ফাইনাল।
কে হল বিজয়ী ? তিনি আর কেউ নয় পবনদীপ রাজন (Pawandeep Rajan) ! হ্যাঁ, ঠিকই শুনেছেন । উত্তরাখন্ডের অখ্যাত অঞ্চলের এক গায়কের আজ উত্তরণের সাক্ষী থাকল গোটা দেশ। এদিন প্রথম রানার্স আপ হলেন বাংলার মেয়ে বনগাঁর অরুণিতা কাঞ্জিলাল ( Arunita Kanjilal) এবং দ্বিতীয় রানার্স আপ মহারাষ্ট্রের সাঁইলি কাম্বলে ( Sayali Kamble)। চতুর্থ হয়েছেন মুজফফরনগরের ছেলে মহম্মদ দানিশ (Mohd Danish)। পঞ্চম হলেন ২০ বছরের নিহাল টরো (Nihal Tauro ) এবং ষষ্ঠ স্থানে নিয়েছেন সন্মুখপ্রিয়া (Shanamukhapriya)।
শো’র ব্যাপক জনপ্রিয়তার কথা মাথায় রেখে, দর্শকদের মনোরঞ্জনে ১২ ঘণ্টা ধরে লাইভ স্ট্রিমিংয়ের ব্যবস্থা নিয়েছিল চ্যানেল কর্তৃপক্ষ। বেলা বাড়তেই শো’য়ে তখন চাঁদের হাট। গ্রেট খালি থেকে কিয়ারা আডবাণী, সিদ্ধার্থ মালহোত্রা হাজির ছিলেন সকলেই। বিজয়ী কে হবেন তা বোঝা যাচ্ছিল না। টপ সিক্সে যে কয়জন পৌঁছেছিলেন প্রত্যেকেই ছিলেন সেরা। যদিও অরুণিতা ও পবনদ্বীপের উপরেই পাল্লা ভারি ছিল প্রথম থেকেই অবশেষে সমস্ত জল্পনার অবসান ঘটিয়ে ট্রফি নিয়ে গেলেন উত্তরাখণ্ডের ছেলেটি।
এর আগেও বেশ কিছু রিয়ালিটি শো’য়ে অংশ নিয়েছিলেন পবনদ্বীপ। কিন্তু এই শো যে তাঁকে নতুন দিগন্ত খুলে দিয়েছে তা আর বলার অপেক্ষা রাখেনা। ইতিমধ্যেই প্লেব্যাকের অফারও পেয়েছেন তিনি। এ প্রসঙ্গে দিন কয়েক আগে তিনি বলেছিলেন, “এই শো যে পরিমাণ পরিচিত এনে দেয় তার তুলনা চলে না। এত ধরনের গান গাইতে পেরেছি। সেরা বিচারকদের থেকে শিখতে পেরেছি। আমার আবারও রিয়ালিটি শো’য়ে আশার উদ্দেশ্য জেতা ছিল না, ছিল শেখা। আমি খুশি যে এত দিন এখানে কাটানোর পর আমরা প্রত্যেকে এখন প্লে ব্যাকের জন্য তৈরি। ”
ইন্ডিয়ান আইডলের মঞ্চে উত্তরাখন্ডের পবনদ্বীপ এবং বাংলার তথা উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বনগাঁর মেয়ে অরুণিতা কাঞ্জিলাল একসঙ্গে জার্নি শুরু করেছিলেন । যত দিন এগিয়েছে ততই ওই দুজনের মধ্যে সম্পর্ক গাঢ় হয়েছে। গানের রিয়ালিটি শো’য়েও শুরু হয়েছে প্রেমের গুঞ্জন। ইন্ডিয়ান আইডলের ফাইনালের আগে অরুণিতার সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক নিয়ে মুখ খুলেছিলেন পবনদ্বীপ। তাঁর কথায়, “অরুণিতা আমার খুব কাছের বন্ধু। এই শো’য়ে আমরা সবাই একসঙ্গে এত সময় কাটিয়েছি যে অবিচ্ছেদ্য হয়ে গিয়েছি প্রত্যেকে। কিন্তু দর্শকের বোঝা উচিত আমাদের মধ্যে বন্ধুত্বের বেশি কিছু নেই। এই মুহূর্তে আমাদের কেরিয়ারের উপর জোর দেওয়ার সময়। বাকি সব কিছু অপেক্ষা করতে পারবে। তবে আমি চাই আমাদের এই সম্পর্ক বুড়ো বয়স পর্যন্ত এগিয়ে নিয়ে যেতে…।”
পাহাড়ি গান সারা ভারতে পৌঁছে দিতে চেয়েছিলেন পাহাড়ি ছেলেটি। তা তিনি করেছেন। পেয়েছেন দর্শকের ভালবাসা। পেয়েছেন পরিচিতিও। এবার পেলেন সেরার সেরা তকমা।
আমাদের ‘খবর এইসময়’ পরিবারের পক্ষ থেকে পবনদ্বীপ(Pawandeep sajan) এবং অরুনিতা (Arunita)- এর জন্য রইল শুভ কামনা।