নিজস্ব প্রতিনিধি, বনগাঁঃ প্রায় ৩৭ দিন বন্ধ থাকার পর গত ৩০ এপ্রিল পেট্রাপোল বেনাপোল সীমান্তের মধ্যে রপ্তানি শুরু হয়। সিদ্ধান্ত হয় দুই দেশের মাঝে নোম্যান্সল্যান্ডে গাড়ি লোডিং আনলোডিং করা হবে। সে মত কাজ শুরু হলেও গতকাল রপ্তানি বন্ধের দাবিতে বিক্ষোভ দেখায় পেট্রাপোলের লোডিং আনলোডিং শ্রমিকেরা।তাদেরকে না জানিয়ে কেন শুরু করা হল আমদানি-রপ্তানি ইতিমধ্যেই তা নিয়ে শোরগোল। আজ জয়ন্তীপুর বাজারে ছয়ঘড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের সাধারণ মানুষের সঙ্গে ট্রেডের শ্রমিকরাও একই সুরে সুর বেঁধে শুল্ক দপ্তর এলপি থেকে শুরু করে সমস্ত আধিকারিকদের কে পেট্রাপোলে যেতে বাধা দেওয়া হয়।
গ্রামবাসীদের বক্তব্য আমদানি-রপ্তানি করলে ড্রাইভার বা খালাসী এঁদের মাধ্যমেও করোনা ভাইরাস সংক্রমণ ছড়াতে পারে ভারতবর্ষের বনগাঁ মহাকুমায়। তাই এই লক ডাউনের সময় দাঁড়িয়ে আমরা কোন রকম ভাবেই আমদানি রপ্তানি করতে দেব না। বাংলাদেশের বেনাপোল লাগোয়া বেশিরভাগ মানুষের মধ্যেই করণা সংক্রমণ দেখা গেছে আমরা জেনে-বুঝে বিপদে পড়তে চাই না। অবরোধের শামিল হয়েছিলেন এলাকার মহিলারাও। অবরোধকারীদের দাবি বনগাঁ কে সুরক্ষিত রাখতে বনগাঁর মানুষকে করোনা আক্রান্তের হাত থেকে বাঁচাতে অবিলম্বে পেট্রাপোল-বেনাপোল সীমান্তে রপ্তানি বন্ধ করতে হবে।অবশেষে বনগাঁ মহাকুমা আরক্ষা আধিকারিকের কথামতো অবরোধ তুলে নেয় গ্রামবাসীরা। তবে তাদের হুঁশিয়ারি, যদি আমদানি-রপ্তানি শুরু হয় তাহলে আমরা বৃহত্তর আন্দোলনে নামতে বাধ্য হব।