সৌভিক সরকার, হালিশহর: আচমকা বোমা বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল উত্তর ২৪ পরগনার হালিশহরে (Halisahar) কোনা মোড় লাগোয়া গঙ্গার ঘাট অঞ্চল। বোমা বিস্ফোরণে এক কিশোরের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। আহত আরও কয়েকজন। তাদের সকলেরই বয়স আঠারো থেকে উনিশের মধ্যে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। বিস্ফোরণের (Blast) খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে নৈহাটি থানার পুলিশ।
বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটাই ছিল যার ফলে ঘটনাস্থলে বিশালাকার একটি গর্ত হয়ে গিয়েছে বলে খবর। গঙ্গার পাড়ে দুষ্কৃতীদের মজুত করা বোমা থেকেই বিস্ফোরণ বলে অনুমান পুলিশের। ঘটনাস্থলে যাচ্ছে ফরেন্সিক টিম এবং ব্যারাকপুরের পুলিশ কমিশনার মনোজ ভার্মা।
স্থানীয় সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার বিকেলে সারে তিনটে নাগাদ নৈহাটি থানার অন্তর্গত হালিশহর কোনা মোড় এলাকার জগন্নাথ গঙ্গার ঘাটের পাশে থাকা ছোট্ট মাঠে রোজকার মতো এদিনও স্থানীয় কয়েকজন কিশোর ক্রিকেট খেলছিল। হঠাৎই বিকট শব্দে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।
বিস্ফোরণের বিকট শব্দ শুনে জগন্নাথ ঘাটে ছুটে যান স্থানীয় বাসিন্দারা। ঘাটের সামনে যেতেই তাঁরা দেখতে পান গুরুতর জখম অবস্থায় পড়ে রয়েছে এক কিশোরের দেহ এবং কিছুটা দূরে আহত রয়েছে তিন থেকে চারজন। খোঁজ নেই আরো দুজনের। তড়িঘড়ি আহতদের উদ্ধার করে কল্যাণী জওহরলাল নেহরু হাসপাতালে নিয়ে যান স্থানীয়রাই। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সুমিত সিং নামে বছর উনিশের ওই কিশোরের মৃত্যু হয়। তবে যে দুজনের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না তাঁদের নাম রহিত চৌধুরী এবং রহিত সিং। স্থানীয়দের আশঙ্কা বিস্ফোরণের জেরে সম্ভবত গঙ্গায় ছিটকে পড়েছে ওই দুই যুবক। মৃতের পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, সুমিত ব্যারাকপুর রাষ্ট্রগুরু সুরেন্দ্রনাথ কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্র ছিল।
প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ সূত্রে খবর, গঙ্গার পাড়ে মজুত থাকা বোমা আ্রচমকা ফেটেই দুর্ঘটনা ঘটেছে। সেখানে দীর্ঘ সময় ধরেই বোমা মজুত করত দুষ্কৃতীরা। বাচ্চারা ওই এলাকায় খেলতে গেলে বিস্ফোরণ ঘটে। সেসময় গঙ্গার ধারে ৩ থেকে ৪ জন জখম হয়েছে। প্রথমে বিস্ফোরণের শব্দ শুনে স্থানীয় বাসিন্দারা ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধারকাজে হাত লাগান। তারপর ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। হালিশহরের মতো এলাকায় গঙ্গার ধারে এ ধরনের বিস্ফোরণের ঘটনায় স্বভাবতই আতঙ্ক ছড়িয়েছে।