আবু আলী, ঢাকা : ভারত থেকে বাংলাদেশে ঢোকার জন্য পণ্যবাহী ২ হাজার ২০০ ট্রাক অপেক্ষায় আছে। আর বাংলাদেশ থেকে ভারতে ঢোকার জন্য আটকে আছে ২০০ ট্রাক। খবর সংশ্লিষ্ট সূত্রের।
বাংলাদেশের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, স্থানীয় রাজনীতির কারণে বেনাপোল স্থলবন্দর বন্ধ রয়েছে। তবে ভারতের সঙ্গে আমদানি-রপ্তানি অব্যাহত রাখতে রেলপথ ব্যবহারের চেষ্টা করছে বাংলাদেশ।
এ বিষয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্ক উন্নয়নে আমাদের আন্তরিকতার কোন ঘাটতি নেই। বিদ্যমান সমস্যা সমাধানের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এসব পণ্য রেলপথে চারটি জায়গা দিয়ে আনা-নেওয়ার ব্যাপারে কাজ চলছে। ১০ মে রবিবার এ নিয়ে আন্তমন্ত্রণালয়ের বৈঠক হবে। ইতোমধ্যে ভারতীয় রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে কথা হয়েছে।
বাণিজ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ভারতের সঙ্গে আমদানি-রপ্তানি অব্যাহত রাখতে রেলপথ ব্যবহারের চেষ্টা চলছে। এতে কনটেইনারে করে রেলপথে পণ্য আমদানি–রপ্তানি করা যাবে। তিনি বলেন, দেশের অর্থনীতি সচল রাখতে আমদানি-রপ্তানির সব ধরনের প্রচেষ্টাই অব্যাহত রেখেছে সরকার। সমুদ্র, স্থল ও বিমানবন্দরগুলোকে চালু রাখা হয়েছে। বিশেষ ব্যবস্থায় দ্রুত মালামাল খালাসও করা হচ্ছে।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, সামনের মৌসুমে পাট চাষের জন্য ভারত থেকে ৩০০ টন পাটবীজ আমদানি করা হয়েছে। এরপর থেকে বন্ধ। আর চাহিদা মোতাবেক রপ্তানি অব্যাহত রাখতে তৈরি পোশাক কারখানাগুলো সীমিত আকারে স্বাস্থ্যবিধি মেনে খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তিনি আরও বলেন, সরবরাহ চেইন ঠিক রাখতে ভারতের সঙ্গে রেলওয়ের চারটি রুট ঠিক করা হয়েছে। এগুলো হচ্ছে—হিলি, দর্শনা, বিরল ও রাধিকাপুর। বেনাপোলসহ অন্যান্য ল্যান্ড পোর্টগুলো খোলা হয়েছিল। কিন্তু স্থানীয় রাজনীতির কারণে বন্ধ হয়ে গেছে গত ৬-৭ দিন ধরে। তবে সরকারিভাবে কোনও বাধা নেই। টিপু মুনশি বলেন, বেনাপোল বন্ধ হলেও আসাম ও ত্রিপুরা স্থলবন্দর চালু রয়েছে। ভারতের হাইকমিশনারের সঙ্গে কথা হয়েছে চেংড়াবান্ধা ও বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর সচল রাখার জন্য।
বাংলাদেশের বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, খাদ্যপণ্য যেমন- তেল, পেঁয়াজ, আদা, রসুন, ডাল যেগুলো আমদানি করতে হয় সেগুলো যেন বন্দর থেকে দ্রুত খালাস করা যায় সে ব্যবস্থা করছি। চট্টগ্রাম বন্দর, বিমানবন্দরসহ স্থল বন্দরে নিয়মিত যোগাযোগ করছি। ভারত থেকে পণ্য আনতে কয়েকদিন আগে আমরা বেনাপোল স্থলবন্দর খুলতে পেরেছিলাম, কিন্তু তিন দিন চলার পর সমস্যার কারণে সেটা বন্ধ হয়ে গেছে।তিনি বলেন, তবে অন্যান্য স্থলবন্দর যেটা আসাম, ত্রিপুরা দিয়ে কানেক্টেড (যুক্ত) সে পথ দিয়ে কিন্তু ভারত থেকে পণ্য আমদানি হচ্ছে। গত কয়েক দিন আগে আমাদের সচিব ভারতের তিনটি ডিপার্টমেন্টের সাথে রেলওয়েতে কীভাবে পণ্য আনা যায় সে বিষয়ে কথা বলেছেন।