খবরএইসময় ওয়েবডেস্ক: আবারও তাল কাটল! শীর্ষে থেকেও ISL লিগ পর্ব থেকে ছিটকে গেল ATK মোহনবাগান। অধরাই থেকে গেল লিগ শিল্ড (ISL)। সোমবার ফাতোর্দায় জামশেদপুরের কাছে ০-১ গোলে হেরে গেল সবুজ মেরুন। ফলে মিলল না সরাসরি এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলার ছাড়পত্রও। এক কথায় সবুজ- মেরুনের পালতোলা নৌকা ডুবল জামশেদপুরের ইস্পাতের ধাক্কায়।
আইএসএলের ইতিহাসে প্রথমবার শীর্ষ চারে জায়গা করে নিয়েছিল ইস্পাতনগরীর দল। আর প্রথমবারেই বাজিমাত। টানা সাত ম্যাচ জিতে নয়া নজির গড়ার পাশাপাশি একেবারে লিড শিল্ড ঘরে তুলে থামল তাদের দৌড়। এদিনের ম্যাচের একমাত্র গোলদাতা ঋত্বিক। ২০ ম্যাচ শেষে ৪৩ পয়েন্ট ঝুলিতে পুরে লিগ শেষ করল তারা।
এদিকে শীর্ষস্থানে যেতে এদিন দুই গোলের ব্যবধানে জিততেই হত এটিকে মোহনবাগানকে। কিন্তু জেতার বদলে হেরে বসল রয় কৃষ্ণরা। যায় ফলে লিগ টেবিলে তিন নম্বরেই শেষ করল সবুজ মেরুন। ২০ ম্যাচে ৩৭ পয়েন্ট এটিকে মোহনবাগানের। শেষ ১০ ম্যাচের মধ্যে ৯টা জয়। এদিকে বাগান শুধু শিল্ড খোয়ালই না, সেমিফাইনালে পেল হায়দরাবাদের মতো কঠিন প্রতিপক্ষকে। তাই হয়ত এদিন ম্যাচ শেষেই গোল করে দাঁড়িয়ে রয় কৃষ্ণ, কাউকোদের হার ভুলে এগিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিলেন জুয়ান ফেরান্দো।
লিগ শিল্ড জিততে দুই গোলের ব্যবধানে জিততেই হত এটিকে মোহনবাগানকে। তাই বোঝাই যাচ্ছিল ম্যাচের প্রথম মিনিট থেকেই গোলের জন্য ঝাঁপাবে রয় কৃষ্ণ, লিস্টনরা। হলোও তাই। রুদ্ধশ্বাস প্রথমার্ধ। বেশ কয়েকটা গোলের সুযোগও তৈরি হয়েছিল।
ছন্দ ধরে রাখতে পারেনি রয় কৃষ্ণ, লিস্টন, শুভাশিসরা। প্রথমার্ধের মাঝামাঝি কাউকোর শট জামশেদপুরের ডিফেন্ডারের হাতে লেগেছিল। কিন্তু সবুজ মেরুন ফুটবলারদের পেনাল্টির আবেদন নাকচ করে দেন রেফারি। অন্যদিকে গোলের দুটো নিশ্চিত সুযোগ পেয়েছিল টাটার দলও। চিমার শট ফিস্ট করে বাঁচান অমরিন্দর। ঋত্বিক-চিমা যুগলবন্দি বেশ কয়েকবার সবুজ মেরুন রক্ষণে ত্রাস সৃষ্টি করে। কিন্তু কোনও বিপদ ঘটেনি। বিরতির ঠিক আগে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ ছিল এটিকে মোহনবাগানের সামনে। কিন্তু তিরির গড়ানো শট একটুর জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়।
বিরতির পর একই ছন্দে শুরু করে রয় কৃষ্ণরা। ম্যাচের ৫২ মিনিটে কার্ল ম্যাকহিউকে তুলে উইলিয়ামসকে নামান ফেরান্দো। ৪-২-৩-১ ফরমেশন বদলে জোড়া স্ট্রাইকারে চলে যান। কিন্তু তাতেও সুরাহা মেলেনি। উল্টে প্রথমার্ধে একাধিক গোল মিসের খেসারত দিতে হল। ম্যাচের ৫৪ মিনিটে জামশেদপুরকে এগিয়ে দেন ঋত্বিক। বক্সের ঠিক মাথায় স্টুয়ার্টের পাস থেকে ডান পায়ের শটে অমরিন্দরকে পরাস্ত করেন। আর এখানেই গড়ে যায় ম্যাচের ভাগ্য।
Double green-Maroon boat hit by steel in Jamshedpur