খবরএইসময় ডেস্ক: কলকাতা বইমেলায় ছিনতাইয়ের অভিযোগে গ্রেফতার অভিনেত্রী। এই খবর আজ সারা বাংলাকে নাড়া দিয়েছে। জাতীয় টেলিঅভিনেত্রী রূপা দত্তকে গ্রেফতার করেছে বিধাননগর উত্তর থানার পুলিশ।
ঠিক কি ঘটেছিল ?
কলকাতা অন্তর্জাতিক বই মেলায় প্রত্যেক দিনই পুলিশি টহল থাকে। সেই মত আজ শনিবারও তার অন্যথা হয়নি। আজ সন্ধ্যায় কর্তব্যরত পুলিশ কর্মীরা লক্ষ্য করেন একজন মহিলা একটি ব্যাগ ডাস্টবিনে ফেলে চলে যাচ্ছেন। কেউ কী তার মানিব্যাগ ডাস্টবিনে ফেলতে পারে ? সেই ভেবেই ওই মহিলার পথ আটকান পুলিশ কর্মীরা। তিনি কেন এই ব্যাগ ফেলে দিচ্ছেন? কোথায় যাচ্ছেন? প্রশ্ন করা হলে তাঁর সদুত্তর দিতে পারেননি ওই মহিলা।
তাতে পুলিশের সন্দেহ হয়। এরপর মহিলা পুলিশ নিয়ে এসে তাঁর তল্লাশি চালানো হয়। তখনই চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ্যে আসে। ওই মহিলার ব্যাগের মধ্যে দেখা যায় বহু মানি ব্যাগ এবং তার মধ্যে রয়েছে প্রচুর টাকা। এতগুলো পার্স তাঁর কাছে কেন ? এর কোনও সদুত্তর দিতে না পারায় পুলিশের সন্দেহ আরও বেড়ে যায়। তাঁকে বিধান নগর উত্তর থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তার ব্যাগ থেকে প্রায় 75 হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।
এরপরই দুঁদে পুলিশ অফিসাররা হতবাক হয়ে যান ওই মহিলার আসল পরিচয় জানতে পেরে। তিনি যে অন্য কেউ নন জাতীয় টেলিঅভিনেত্রী রুপা দত্ত! রুপার কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া একটি ডায়েরিতে কত টাকা এবং কখন তোলা হয়েছে তার হিসাবও রয়েছে। তবে কেন তিনি এমন করছেন তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অভিনেত্রী রূপা দত্তেরও একটি বড় চক্র রয়েছে বলে সন্দেহ পুলিশের। কী কারণে রূপা দত্তকে পকেটমার হতে হল তাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ। তবে এই প্রথম নয় যে রূপা দত্তের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ আগে হয়নি!
পরিচালক অনুরাগ কাশ্যপ নিজেই ‘যৌন হেনস্থা’র মিথ্যা অভিযোগ তুলেছেন। খবরটি প্রকাশ্যে আসতেই তোলপাড় শুরু হয় অভিনয় জগতে। ঘটনাটি ঘটে 2020 সালে। সেই সময় অনুরাগ কাশ্যপের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ তোলেন পায়েল ঘোষ। পায়েলের পাশে দাঁড়িয়ে অনুরাগ কাশ্যপের বিরুদ্ধে একই অভিযোগ করেছেন রূপা দত্ত। তিনি অভিযোগ করেছেন, যে অনুরাগ কাশ্যপ তাকে ফেসবুকে বেশ কয়েকটি আপত্তিকর বার্তা পাঠিয়েছিলেন।
তার অভিযোগ সত্ত্বেও অভিনয় জগতে তোলপাড় হয়। রূপা দত্ত দাবি করেন যে তিনি ফেসবুকে অনুরাগ কাশ্যপের সাথে দেখা করেছিলেন। এবং তারপরে অনুরাগ তাকে একাধিকবার টেক্সট করেছিলেন। রুপা দত্তকে এমন অভিযোগ করতে দেখা গিয়েছে অনেক জাতীয় চ্যানেলে। এমনকি মহেশ ভাটের বিরুদ্ধেও একই ধরনের অভিযোগ তোলেন তিনি। মহেশ ভাটও তাকে ফেসবুকে এমন একটি বার্তা পাঠিয়েছেন, যার মানে অন্য কিছু। যদিও পরে দেখা যায়, অনুরাগ কাশ্যপের বিরুদ্ধে তার অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা।
দেখা যায়, অনুরাগ সাফার নামে এক ব্যক্তির চ্যাটের স্ক্রিনশট দেখিয়েছেন রূপা দত্ত। সেই অনুরাগ সফর আবার আয়ারল্যান্ডের বাসিন্দা। তিনি ফেসবুকে পোস্টও করেছেন যে ভারতের জাতীয় গণমাধ্যমে তাকে অনুরাগ কাশ্যপ হিসেবে দেখানো হচ্ছে। তিনি মোটেও কাশ্যপ নন। সে সময়ও রূপা দত্ত গুরুতর বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন।