নিজস্ব প্রতিনিধি, শ্রীরামপুর: মা ছেড়ে গিয়েছেন আগেই। বাবা ও কাকার কাছেই মানুষ হচ্ছিল দুই বোন। বড় বোন পড়াশোনা করেছিল ক্লাস এইট পর্যন্ত। ডিন্সটেন্সে যাতে বাকি পড়াশোনা করতে পারে, তার প্রস্তুতি নিচ্ছিল। তাই মেয়েকে কলজের এক অধ্যাপকের বাড়িতে রেখে দিয়ে গিয়েছিলেন বাবা। সেখানেই গত এক সপ্তাহ ধরে নিগৃহীত হতে হয়েছে নাবালিকাকে। এমনই অভিযোগ হুগলী জেলার শ্রীরামপুর কলেজের এক ইতিহাসের অধ্যাপকের বিরুদ্ধে। অভিযোগ উঠেছে ধর্ষণের।
ইতিমধ্যেই শ্রীরামপুর মহিলা থানার পুলিস অভিযুক্ত অধ্যাপককে গ্রেফতার করেছে। নিজের বিরুদ্ধে সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অভিযুক্ত অধ্যাপক।
হিন্দমোটরের এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা বাচ্চাদের নিয়ে কাজ করে। তাদের কাছেই প্রথম গিয়ে অভিযোগ করেন ওই নাবালিকা। তারপর তারা প্রথমে উত্তরপাড়া থানায় যায়। সেখানে থেকে শ্রীরামপুর মহিলা থানা। ওই নাবালিকা তার বয়ানে জানিয়েছে, মা তাদের কাছে থাকেন না। এক বোন কাকার কাছে থাকে। আরেকজন মুম্বইতে কিছুদিন বাবার কাছে ছিল।
দিন পনের আগে ফিরে এসে মেয়েকে তার বাবা অধ্যাপকের বাড়িতে দিয়ে চলে যান। কথা ছিল ডিন্সটেন্সে পড়াশোনা শেষ করার জন্য সাহায্য করবেন ওই অধ্যাপক। নাবালিকার অভিযোগ, পড়ানোর নাম করে তার উপর যৌন নির্যাতন চালিয়েছেন ওই অধ্যাপক। গত এক সপ্তাহ ধরে প্রতি রাতে এই অত্যাচার চলেছে বলে অভিযোগ।
অভিযুক্ত অধ্যাপক বলেন, “মেয়েটার বাবাই আমার কাছে ওকে রেখে গিয়েছিল। আমার বাড়িতে ছিল। পড়াশোনা করাতাম। আমার মেয়ে-ছেলেও আছে। আমার বিরুদ্ধে হঠাৎ কেন অভিযোগ, সেটাই জানা নেই।”
নিগৃহীত নাবালিকা বলেছেন, “আমার বাবা আমাকে এখানে রেখে গিয়েছিল। এখানে পড়াশোনা করার জন্য এসেছিলাম। আমি ডিসটেন্সে পড়াশোনা করতে চেয়েছিল। কিন্তু এই স্যার আমার সঙ্গে সব কিছু করল, আর এখন আমার সঙ্গে নেই।” অধ্যাপকের বক্তব্য, তিনি নাকি জানেনই না কী হয়েছে, হঠাৎ তাঁকে পুলিশ এসে ধরে নিয়ে গেল।