নিজস্ব প্রতিনিধি,বীরভূম: অনুব্রতহীন বীরভূমে পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু করল তৃণমূল-কংগ্রেস। এদিন বোলপুরের কসবা অঞ্চল থেকে এই প্রথম দলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে ছাড়াই অঞ্চল ভিত্তিক কর্মী সম্মেলন শুরু হল। নেতৃত্ব দেন রাজ্যের ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ সহ অন্যান্য নেতৃত্ব৷ ৬ এপ্রিল সিবিআইয়ের হাজিরা এড়িয়ে প্রথম হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন অনুব্রত মণ্ডল। সেই থেকে কলকাতাতেই রয়েছেন তিনি৷
গোরু পাচার কাণ্ডে তৃণমূল কংগ্রেসের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে তলব করে সিবিআই। চতুর্থবারের হাজিরে এড়িয়ে কলকাতায় তাঁর চিনার পার্কের বাড়ি থেকে ৬ এপ্রিল এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি হন অনুব্রত। বুকে ব্যাথা ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে দীর্ঘ দিন উডবার্ন ওয়ার্ডে ভর্তি থাকার পর ছুটি পান৷ ছিলেন কলকাতার বাড়িতেই৷ সেখান থেকে ১২ এপ্রিল ফের তাঁকে এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়৷ অর্থাৎ ১ মাসের বেশি সময় ধরে বীরভূম জেলার বাইরে অনুব্রত মণ্ডল।
আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচন। হাতে আর বেশি সময় নেই। সংগঠন ঝালিয়ে নিতে এই প্রথম অনুব্রতহীন পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু করল তৃণমূল-কংগ্রেস৷ এদিন থেকে বীরভূমে শুরু হল দলের অঞ্চল ভিত্তিক কর্মী সম্মেলন৷ তত্ত্বাবধানে ছিলেন রাজ্যের ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ, নানুরের বিধায়ক বিধান মাঝি সহ অন্যান্য নেতৃত্ব। সভাস্থলে অনুব্রত মণ্ডলের ছবি থাকলেও, ছিলেন না তিনি৷ তবে অনুব্রত মণ্ডল না থাকায় কর্মীসভায় গড় হাজির বহু কর্মী৷
প্রসঙ্গত, এক একটি নির্বাচনের আগে বিশেষ স্লোগান বা দাওয়াই মূলক উক্তি নিয়ে নির্বাচনী ময়দানে নামেন অনুব্রত মণ্ডল। যা নিয়ে রীতিমতো বিতর্কও হয়৷ কখনও উন্নয়ন দাঁড়িয়ে আছে, কখনও চরাম-চরাম, কখনও গুড়-বাতাসা, কখনও খেলা হবে বলে চর্চায় থেকেছেন অনুব্রত মণ্ডল। প্রতি সভার মঞ্চে মধ্যমণি হয়ে থাকতেন দোর্দণ্ডপ্রতাপ অনুব্রত। কিন্তু, এবার পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে অনুব্রত শূন্য বীরভূমে প্রস্তুতি শুরু করল দল ৷
মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ বলেন, “অনুব্রত মণ্ডল রাজ্যের নেতা। এখন সে অসুস্থ৷ তাই আসতে পারিনি৷ তবে দলের কাজ তো আর থেমে থাকবে না৷ সামনে পঞ্চায়েত ভোট। তাই সংগঠনের কাজ করে যেতে হবে৷ অনুব্রত গ্লামার নেতা, তার না থাকাটা কিছুটা ম্লান তো হবেই।”