খবর এইসময় ডেস্ক: শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীর (Paresh Adhikari) কন্যা অঙ্কিতার নাম মেধা তালিকায় ছিল না। কিন্তু তার নাম অবৈধ উপায়ে তালিকায় ঢোকানো হয়েছিল বলে অভিযোগ। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা হয়। হাইকোর্ট এই মামলায় পরেশ অধিকারীকে সিবিআই জেরার মুখোমুখি হতে নির্দেশ দেয়।
বৃহস্পতিবার সন্ধে সাড়ে ৬টা নাগাদ নিজাম প্যালেসের সিবিআই (CBI) দপ্তরে পৌঁছন তিনি। ১৫ তলার কার্যালয়ে টানা তিন ঘণ্টা জেরার পর আপাতত তাঁকে ছাড় দিল সিবিআই। পরবর্তীতে আরও জেরার সম্ভাবনা।
শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে ইতিমধ্যে জেরা করেছে সিবিআই। জানা গিয়েছে পার্থবাবুর উত্তরে সন্তুষ্ট নয় সিবিআই। তাঁকে আরও একবার ডাকতে চলেছে সিবিআই। জেরা এড়াতে পার্থ চট্টোপাধ্যায় সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছেন।
সিবিআই সূত্রে খবর, এদিন দুই দফায় পরেশ অধিকারীকে জিজ্ঞেস করা হয়। তাঁর বয়ান লিপিবদ্ধ করা হয়েছে ৷ এদিন দুই আধিকারিক প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন ৷ ছিলেন এসপি পদমর্যাদার অফিসার।
এদিন মূলত জিজ্ঞাসাবাদে যে বিষয়টি সিবিআই আধিকারিকরা জানতে চান তা হল পরেশ অধিকারীর মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারীর নিয়োগ নিয়েই ৷ কোন সালে নিয়োগ হয়েছিল? সেই সময় শিক্ষামন্ত্রী কে ছিলেন? কোন কমিটির মাধ্যমে নিয়োগ হয়েছিল সবটাই জানতে চান সিবিআই আধিকারিকরা ৷
এমনিতেই সিবিআইয়ের দায়ের করা এফআইআরে উল্লেখ রয়েছে ৬১ নম্বর পরীক্ষায় পেয়েছেন পরেশ কন্যা অঙ্কিতা। কিন্তু পার্সোনালিটি এলিজিবিলিটি টেস্টে তাঁর কোনও নম্বরের উল্লেখ নেই৷ সেখান সিবিআইয়ের সন্দেহ দুর্নীতি হয়েছে। এদিন পুরো বিষয়টি নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়৷
সিবিআই সূত্রে খবর, পরেশ অধিকারীর সমস্ত বয়ান খতিয়ে দেখা হবে ৷ তা যাচাই করা হবে। প্রয়োজন পড়লে ফের তলব করা হতে পারে রাজ্যের মন্ত্রীকে৷ এমনকি তাঁর মেয়ে অঙ্কিতাকেও তলব করা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, ববিতা সরকার নামে এক পরীক্ষার্থী মামলা করেছিলেন। ববিতার দাবি, তাঁর চেয়ে নম্বর কম ছিল মন্ত্রীর মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারীর। তারপরেও নিয়োগপত্র হাতে পাননি ববিতা। অথচ ২০১৮ সাল থেকে মেখলিগঞ্জের একটি স্কুলে চাকরি করছেন অঙ্কিতা। এরপরই আদালতের দ্বারস্থ হন চাকরিপ্রার্থী ববিতা। সেই মামলাতেই সিবিআই (CBI) তদন্তের নির্দেশ দেয় হাই কোর্ট।