নিজস্ব প্রতিনিধি, নদীয়া: আচ্ছা বলুন তো ফুচুকা আর টকজলের নাম শুনলে কারই বা জিভে জল না আসে,তাই না! কিন্তু টপাটপ মুখে কটা ফুচকার রসাস্বাদন নেওয়াটা দায় হয়ে পরেছে এই লক ডাউনের বাজারে ।বন্ধ দোকান তাই পরিবার নিয়ে চরম আর্থিক সংকটে পড়েছেন ফুচকা বিক্রেতারাও। হাতে নেই পয়সা কড়ি। বাধ্য হয়ে বেঁচে থাকার তাগিদে সকাল সকাল বেরিয়ে পড়েছেন নদীয়া নবদ্বীপ শহরের পাড়ায় পাড়ায়, বাড়ী বাড়ী কেউ সাইকেল চেপে, কেউ বা ভ্যান রিকশায়। নবদ্বীপের পশ্চিম প্রান্তের মধ্য শ্রীরামপুরের অজয় পাল, বিকাশ সাহাদের এক মাত্রা উপার্জনের পথ এই ফুচুকা বিক্রি। অন্য সময় ওরা কোন অনুষ্ঠান বাড়ি বা পাড়ার মোড়ে মোড়ে প্রতিদিন ফুচুকা বিক্রি করে। লকডাউনে বাড়িতে থেকে বেড়ানো নিষেধ। তাই ওরা কেউ ফুচুকা বিক্রি করতে বের হন নি। ফুচুকা বিক্রেতা অজয় পাল জানান ঘরে খুব অভাব। তাই বাধ্য হয়ে প্যাকেটে করে শুকনো ফুচুকা বিক্রি করতে বেরিয়ে পড়েছি। টকজল তৈরি করতে যাতে কোন সমস্যা না পড়েন ক্রেতারা সেকারনে ওই প্যাকেটের ভেতরে পরিমান মত তেঁতুল,বিট লবন সহ টকজল বানানোর বিভিন্ন মশলা দিয়ে দেওয়া হয়েছে।
এই শুকনো ফুচুকা কিনে নিয়ে বাড়িতে আলুর তরকারি মেখে নেবেন ক্রেতারা।পাশাপাশি টক জল বানিয়ে নিতে পারবেন তারা সেকারণেই ফুচুকা সঙ্গে টকজল তৈরির উপকরণ দিয়ে দেওয়া আছে। লকডাউনের মধ্যে ফুচুকা বিক্রি হতে দেখেই গাড়ি থামিয়ে অনেকেই ফুচুকা কিনে নিয়ে বাড়ি ফিরছেন।এক মহিলা ক্রেতা স্বপ্ন গাঙ্গুলী জানালেন, যতই ভাত,ডাল, মাছ মাংস খাই না কেন। ফুচুকা না হলে কি চলে। আজকে হাতের কাছে পেয়ে গেছি তাই কিনে নিয়ে বাড়ি যাচ্ছি। বাড়িতে গিয়ে আলুর তরকারি মেখে, টকজল তৈরি করে সবাই মিলে জমিয়ে খাবো। অনেকদিন পর ছোট্ট রোহিত হাতের কাছে ফুচকা পেয়ে তো মজা করে মা দিদাকে নিয়ে জমিয়ে খেতে বসে পড়েছে।