খবর এইসময় ডেস্ক: জীবনের শুরুটা ক্রিকেটার হিসাবে অভিষেক হলেও পরবর্তী সময়ে ক্রিকেট জগতে আম্পেয়ারে ভূমিকায় খ্যাতি লাভ করেন আসাদ। ক্রিকেট দুনিয়ায় বিতর্ক থেকেও রেহাই মেলেনি তাঁর। ২০১৩ সালে আইপিএলে ম্যাচ গড়াপেটায় জড়িয়েছিল নাম। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে বুকি থেকে মূল্যবান উপহার নেওয়ার। একসময় যৌন নির্যাতনের মত গুরুতর অভিযোগ ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে। পরবর্তী সময়ে তিনি নির্বাসিত হন। যদিও তিনি নিজেকে নির্দোষ বলেও দাবি করেন। ক্রিকেট থেকে সরে এসে পোশাক ও জুতো বিক্রি করেই দিন অতিবাহিত করতেন প্রাক্তন আম্পেয়ার।
ক্রিকেট কেরিয়ারে পাকিস্তানের ফার্স্টক্লাস ক্রিকেট খেলেছেন তিনি। ২০০০ সালে প্রথম আম্পেয়ার হিসাবে তাঁকে ময়দানে দেখা যায়।২০০৬ সালে তাঁকে আইসিসি-র এলিট প্যানেলে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। আম্পেয়ার জীবনে ৬৪ টি টেস্ট, ১৩৯ টি এক দিনের ম্যাচ ও ২৮ টি-টোয়েন্টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ পরিচালনা করেছিলেন।
পাক আম্পেয়ারের ভাই তাহির জানান, লাহোরের লান্ডা বাজারে নিজের দোকান বন্ধ করার সময় বুকে অস্বস্তি অনুভব করেন আসাদ। হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানেই প্রয়াত হন তিনি। মৃত্যুকালীন তাঁর বয়স হয়েছিল ৬৬ বছর। প্রাক্তন পাক আম্পেয়ারের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়তেই শোকের ছায়া নেমে আসে ক্রিকেট জগতে। টুইটার ও বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে শোকজ্ঞাপন করেছেন একঝাঁক ক্রিকেট তারকা।