পল্লব হাজরা, বরাহনগর: গোটা দেশের মানুষ গা ভাসিয়েছে দীপাবলিতে। আলোর রোশনাইয়ে সেজে উঠেছে গোটা রাজ্য । পিছিয়ে পড়েনি উত্তর শহরতলীর উৎসবের শহর বরাহনগর। শনিবার উদ্বোধন হতে থাকে বরাহনগরের বিশেষ পুজো মণ্ডপগুলি। আলোর উৎসবে মণ্ডপগুলিতে যেখানে একের পর এক নক্ষত্র খচিত ব্যক্তিত্বের উপস্থিতি ঠিক তার ভিন্ন পথে হেঁটে নজির সৃষ্টি করল উত্তরশহরতলীর বরাহনগরের ‘হাওয়া সকাল’।
শনিবার ২০ জন দৃষ্টিহীন ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে উদ্বোধন হলো ‘হাওয়া সকাল’-এর পুজো মণ্ডপ। ‘হাওয়া সকাল’ এর পক্ষ থেকে এদিন উচ্চ চাহিদা সম্পন্ন ছাত্র-ছাত্রীদের হাতে তুলে দেওয়া হয় বিশেষ সন্মান। তাদের হাতে প্রদীপের শিখায় উজ্জ্বল হয়ে ওঠে মণ্ডপ প্রাঙ্গণ।
এদিন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দমদম লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ অধ্যাপক সৌগত রায়, বরাহনগর পৌরসভার চেয়ারপার্সন অপর্ণা মৌলিক, ১৪নং ওয়ার্ডের পৌরপ্রতিনিধি শান্তনু মজুমদার সহ অন্যান্য বিশিষ্ট জনেরা।
নবম বর্ষে ‘হাওয়া সকাল’ এর সম্পাদক সুশান্ত বোস জানান এবারের মূল ভাবনা ‘শিব ঠাকুরের আপন দেশে’। নেপালের দরবার স্কোয়ারের আদলে মণ্ডপটি তৈরি করা হয়েছে। মণ্ডপসজ্জায় সৌরভ দত্ত ও প্রতিমা শিল্পী পরিমল পাল যাদের অসাধারণ শিল্পকলা দর্শনার্থীদের মুগ্ধ করবে। ২০জন দৃষ্টিহীন ছাত্র ছাত্রীদের হাত ধরে এবছর তাদের আলোর উৎসবে যাত্রা শুরু।
উদ্বোধনের প্রথম দিনেই দর্শনার্থীদের উপস্থিতি ছিল চোখে পরার মতো। দৃষ্টিহীন ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে ‘হাওয়া সকাল’ এর এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন প্রত্যেকটি মানুষ।