নিজস্ব প্রতিনিধি,পূর্ব মেদিনীপুরঃ সুপার সাইক্লোন আম্ফানের দাপটে লণ্ডভণ্ড পূর্ব মেদিনীপুরের বিস্তীর্ণ একের পর এক গ্রামগুলিতে বিদ্যুৎ বিপর্যয় হয়েছে। বন্ধ বিদ্যুৎ পরিষেবা।নেই খাওয়ার জল। আট দিন হয়ে গেলেও এখনো পর্যন্ত অন্ধকারে ডুবে রয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় কাঁথি, হলদিয়া, দীঘা,এগরা, রামনগর, মেচেদা, পাঁশকুড়া ও মহিষাদলের মত একাধিক গ্রাম। এর ফলে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে মোবাইল পরিষেবাও। যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে বহু গ্রামের বাসিন্দাদের মধ্যে। ঝড় চলে যাওয়ার ৮ দিন পরেও ৯০% গ্রামে এখনো বিদ্যুৎ পরিষেবা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।দিন যত বাড়ছে বিদ্যুৎ না থাকার কারনে গ্রামের মানুষের মধ্যেও বাড়ছে ক্ষোভ। দিনের পর দিন বিদ্যুৎ দপ্তর সংস্থাকে জানিও এখনও পর্যন্ত কোনও সুরাহা মিলছে না। বিদ্যুৎ দপ্তরের দাবি গ্রামের বহু বিদ্যুতের খুটি ভেঙে পড়েছে। গাছ পড়ে ছিঁড়ে গেছে বিদ্যুতের তার। পরিষেবা দেওয়ার জন্য ঠিকাদারের কাছে প্রয়োজন মত কারিগর নেই। আর সেই কারণে গ্রামে বিদ্যুৎ পরিষেবা সচল করার ইচ্ছা থাকলেও কোন উপায় নেই।তবে আজ দেখা গেল দায়িত্বপ্রাপ্ত ঠিকাদার কর্মীরা যুদ্ধকালীন তৎপরতায় বিদ্যুতের পরিসেবা স্বাভাবিক করতে দ্রুততার সঙ্গে কাজ শুরু করেছে। বিদ্যুৎ পরিসেবা গ্রামে পৌঁছে দিতে অতিরিক্ত কর্মীও নিযুক্ত করেছে।
পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় কাঁথি, হলদিয়া, দীঘা,এগরা, রামনগর, মেচেদা, পাঁশকুড়া ও মহিষাদল একাধিক গ্রামের বিদ্যুতের লাইন মেরামতের কাজ করছে। বিদ্যুৎ দপ্তরে কারিগরের সঙ্গে কাজ করছে এলাকার যুবকেরা। বিদ্যুৎ না থাকার ফলে গ্রাম বাংলায় পানীয় জলে ব্যাপক সংকট দেখা দিয়েছে। এর ফলে বন্ধ হয়ে গিয়েছে স্বজলধারা, সাবমারসিবল পাম্প ও গ্রামের বহু পানীয় জলের ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। এর জেরে বেশ সমস্যায় পড়েছে জেলার মানুষ। কোথাও কোথাও আবার পানীয় জলের দাবিতে গ্রামবাসীরা রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাচ্ছে। অনেক দূর থেকে পানীয় জল আনতে হচ্ছে। কোথাও আবার চড়া দামে পানীয় জল কিনে খেতে হচ্ছে মানুষজনকে।
পূর্ব মেদিনীপুর জেলার জেলাশাসক পার্থ ঘোষ জানিয়েছেন, যুদ্ধকালীন তৎপরতায় বিদ্যুৎ দপ্তরে কর্মীরা কাজ করছেন। যাতে খুব তাড়াতাড়ি বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়া যায় তার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।কোথাও কোথাও ব্লক প্রশাসন পানীয় জল গ্রামের মানুষের কাছে পৌঁছে দিচ্ছে।