নিজস্ব প্রতিনিধিঃ উন্নত দেশে বেশিরভাগ রক্তদাতাই হলেন স্বেচ্ছায় রক্তদাতা, যারা সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে রক্তদান করেন। দরিদ্র দেশগুলোতে এ ধরনের প্রতিষ্ঠিত স্বেচ্ছায় রক্তদাতার সংখ্যা বেশ কম, বেশিরভাগ রক্তদাতাই কেবল তাদের পরিচিতজনদের প্রয়োজনে রক্তদান করে থাকেন। বেশির ভাগ রক্তদাতাই সমাজসেবামূলক কাজ হিসেবে রক্তদান করেন,যেমনটা দেখাল সরকারি ইঞ্জিনিয়ারদের সর্ববৃহৎ সংগঠন ফেডারেশন অফ অ্যাসোসিয়েশন অফ ইঞ্জিনিয়ার এন্ড টেকনিক্যাল অফিসারস (ফেটো )এর সদস্যরা।
ফেডারেশন অফ অ্যাসোসিয়েশন অফ ইঞ্জিনিয়ার এন্ড টেকনিক্যাল অফিসারস (ফেটো )এর পক্ষ থেকে আজ ২৬ নভেম্বর নীলরতন সরকার হসপিটালে এক স্বেচ্ছায় রক্তদান শিবিরের আয়োজন করা হয়। এই রক্তদান শিবিরের প্রায় দেড়শ জন ইঞ্জিনিয়ার স্বেচ্ছায় রক্তদান করেন। এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ফেটোর পশ্চিমবঙ্গ শাখার সভাপতি নীলাঞ্জন সাহা, সেক্রেটারি জেনারেল সজল দাস ও স্টেট ইঞ্জিনিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি রাজীব বিশ্বাস প্রমূখ।
স্টেট ইঞ্জিনিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি রাজীব বিশ্বাস এদিন বলেন, ‘রক্তদানের প্রথম ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে রক্তদাতার দেহ লোহিত রক্তকণিকা পুনরায় গঠন হতে শুরু করে। নতুন করে দেহে রক্তকণিকা তৈরি হলে তা মানুষকে স্বাস্থ্যবান এবং কর্মক্ষম থাকতে সহায়তা করে। এই বিষয়টা প্রত্যেক মানুষকে জানা দরকার। আশ্চর্য লাগে এই শুনে যে, আজকের দিনে দাঁড়িয়েও অনেককেই বলতে শুনি, নানা বাবা,আমাকে রোজই ট্রেনে-বাসে ট্র্যাভেল করতে হয় ,আমি রক্ত দেব না।’