পল্লব হাজরা, বরানগর: চব্বিশ ঘণ্টা পেরতে না পেরতে মোবাইল নেটওয়ার্কের সূত্র ধরে পলাতক সুমন বিশ্বাসকে নদীয়ার কৃষ্ণনগর থেকে গ্রেফতার করে বরাহনগর থানার পুলিশ।
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার সকালে মৃতদেহ উদ্ধারকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছাড়ায় বরাহনগর সুভাষপল্লী এলাকায়। মৃতের নাম শ্রীমন্ত মাঝি। ইন্ডিয়ান স্ট্যাটিসটিক্যাল ইন্সটিটিউট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ক্যান্টিন কর্মী ছিলেন শ্রীমন্ত।
দেহ উদ্ধারের সময় যুবকের গলায় ছিল ফাঁসের দাগ। শ্রীমন্তর বাবা সুবোধ মাঝির লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে ৩০২ ধারায় মামলা রুজু করে তদন্তে নামে পুলিশ।
বছর ১৯ এর যুবকের সাথে বরাহনগর ৩৭নং সুভাষপল্লী বাড়িতে ভাড়া থাকতেন অভিযুক্ত সুমন বিশ্বাস। মৃত দেহ উদ্ধারের পর থেকেই বেপাত্তা ছিলেন পেশায় অটোচালক সুমন। যার জেরে রহস্য ক্রমাগত দানাবাঁধে।
মৃতের গলায় ফাঁসের দাগ থাকায় প্রাথমিক ভাবে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে শ্রীমন্তকে এমটাই মনে করেছিলেন অনেকেই । পরবর্তী সময় কামারহাটি সাগর দত্ত মেডিকেল হাসপাতালে ময়নাতদন্তের পর ফাঁস লাগিয়ে শ্বাসরোধ করে মৃত্যু তা এক প্রকার নিশ্চিত করেন চিকিৎসকেরা।
অপর দিকে পুলিশি জেরার মুখে খুনের দায় স্বীকার করেছে সুমন। তিনি দাবি করেন শ্রীমন্ত তিনি ছিলেন সমকামী। কিছু দিন আগে শ্রীমন্ত দুজনের অন্তরঙ্গ ছবি সামাজিক মাধ্যমে তুলে ধরলে শীর্ষে ওঠে অশান্তি। অবশেষে বৃহস্পতিবার দড়ি দিয়ে গলায় শ্বাসরোধ করে খুন করা হয় শ্রীমন্তকে।
পুলিশ সূত্রে খবর, আগামীকাল ব্যারাকপুর মহকুমা আদালতে তোলা হবে ধৃত কে। নিজেদের হেফাজতে নিয়ে তদন্তের আর্জি জানাবে বরাহনগর থানার পুলিশ।