নিজস্ব প্রতিনিধি, নদীয়া: সরকারি ভাবে স্কুলেই তৈরি হয়েছে কোয়ারেন্টাইন সেন্টার।তৈরি হয়েছে পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য।সেখানেই থাকতে হবে ১৪ দিন। কারণ,সংক্রামন থেকে পরিবার এবং গ্রামের লোকজনেদের বাঁচাতে।সরকারি স্বাস্থ্যবিধি মেনে পরিযায়ী শ্রমিকরা সেখানে থাকতে শুরু করলেও এখন আশঙ্কায় দিন কাটাচ্ছে নবদ্বীপ স্বরূপগঞ্জের পরিযায়ী শ্রমিকরা।
সংক্রমণ যাতে না ছড়ায় সেই জন্য কোয়ারেন্টাইন সেন্টার করা হলেও সেই কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে তিন বেলা খাবার দিতে আসতে হচ্ছে পরিযায়ী শ্রমিকদের বাবা,মা,ভাইবোন,স্ত্রীকে। তারা দিনে তিনবার করে কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে যাতায়াত করছেন। যার থেকে বিপুল হারে সংক্রমণের ভয় পাচ্ছেন পরিযায়ী শ্রমিক থেকে শুরু করে স্থানীয় বাসিন্দাও। নবদ্বীপ স্বরূপগঞ্জ ভাগীরথী বিদ্যাপীঠে সরকারি ভাবে তৈরি করা হয়েছে কোয়ারেন্টাইন সেন্টার। অভিযোগ সেখানে পরিযায়ী শ্রমিকদের কোন রকম খাবারের ব্যবস্থা নেই।এমনকি পর্যাপ্ত শৌচাগারের অভাব। মাত্র দুটি শৌচাগার থাকলে তা ব্যবহারের অযোগ্য। ওই সেন্টারে সোমবার মহারাষ্ট্র পুনে থেকে ফিরেছেন প্রতাপ দেবনাথ তিনি বলেন, আমরা সবাই পরিযায়ী শ্রমিক হোটেল রেস্টুরেন্ট বেসরকারি সংস্থায় বিভিন্ন কাজের জন্য রাজ্যের বাইরে যেতে হয়। লকডাউন এবং মারণ রোগ করোনা ভাইরাসের কারনে আমাদের ফিরে আসতে হয়েছে। এই রোগের প্রাদুর্ভাব আটকাতে প্রত্যেক পরিযায়ী শ্রমিক এবং রাজ্যের বাইরে বিভিন্ন কাজে গিয়ে যে সব মানুষ আটকে পড়েছিলেন।তাদেরকে ফিরে আসতে হচ্ছে। ফিরে আসার পর সরকারি ভাবে প্রত্যেকেই ১৪ দিনের জন্য কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হচ্ছে। কেউ কেউ হোম কোয়ারেন্টাইনে আছেন। শুধুমাত্র নিজেকে,পরিবার এবং সমাজকে বাঁচাতে স্বাস্থ্যসম্মতভাবে এই ব্যবস্থা করেছেন সরকার। সেইমতো আমরা নবদ্বীপ স্বরুপগঞ্জ ভাগীরথী বিদ্যাপীঠের কোয়ারেন্টাইন রয়েছি। কিন্তু এই কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে খাবারের ব্যবস্থা নেই। শৌচাগারে সমস্যা রয়েছে।
পরিবারের লোকজন আমাদেরকে খাবার দিয়ে যাচ্ছেন।কিন্তু যেখানে সরকারিভাবে সাবধানতা অবলম্বনের জন্য প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে বের হতে না করা হয়েছে।সেখানে কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে এসে তিনবেলা খাবার দিচ্ছেন পরিবারের লোকজন। তিনি বলেন সত্যিই আমরা আতঙ্কিত যেভাবে আমাদের পরিবারের লোকেরা এই সেন্টারের ভেতরে খাবার দিতে আসছেন। তাতে তারা যেন সংক্রামিত না হয়ে পড়েন। তবে এপ্রসঙ্গে স্থানীয় ।বিডিও বরুনাশিস সরকার বলেন কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে খাবার দেবার ব্যবস্থা সরকারিভাবে নেই। খাবার বাড়ির লোককে দিতে হবে। সেজন্য বাড়ির কাছাকাছি স্কুলে ব্যবস্থা করা হয়েছে।প্রতিটি কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে একটা নির্দিষ্ট জায়গা রাখা আছে বাড়ির লোকেরা সেই জায়গায় গিয়ে খাবার দিয়ে আসবেন। পরের বার সেখান থেকে ওই বাসনপত্র নিয়ে যাবেন। আবার নতুন বাসনে খাবার দিয়ে আসবেন। সেভাবেই কাজ চলছে সব জায়গায় আমাদের লোক আছে। এবিষয়ে সতর্ক দৃষ্টি আছে। তিনি বলেন অল্প সময়ের মধ্যে এতগুলো কোয়ারেন্টাইন সেন্টার চালু হয়ে যাওয়ায় ফলে হয়তো কিছু কিছু অসুবিধা হচ্ছে পরে এগুলো ঠিক হয়ে যাবে।