পল্লব হাজরা, বরাহনগর: বর্তমান সময় রাজ্য সরকার সরাসরি জনগণের কাছে পৌঁছে যাওয়ার গুরুত্বপূর্ণ মাধম্য দুয়ারে সরকার। নিজ অঞ্চলে সমস্যা সমাধান করার সুযোগ হাতছাড়া করতে চাইছে না অনেকে। ২০২০সালে ১লা ডিসেম্বর রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে যাত্রা শুরু হয় পরিষেবা। লক্ষ্মী ভাণ্ডার, খাদ্যসাথী, স্বাস্থ্যসাথীর মত বেশ কিছু প্রকল্পের সুবিধা পেয়ে স্বভাবত খুশি রাজ্যবাসী। প্রকল্প গুলির লাভ ওঠানোর জন্য পঞ্চায়েত ও পৌরসভার একাধিক ওয়ার্ডে হাতে নথি নিয়ে নেমেছে সাধারণ মানুষের ঢল।
গত ১লা এপ্রিল থেকে শুরু হল ষষ্ঠ দফায় দুয়ারে সরকার কর্মসূচী। ১ থেকে ২০ তারিখ পর্যন্ত চলবে এই কর্মসূচী। দুয়ারে সরকার পঞ্চম দফা শেষ করে ষষ্ঠ দফায় পশ্চিমবঙ্গের নানা প্রান্তে চলছে । ষষ্ঠ দফায় রাজ্যবাসীর জন্য নতুন করে ৪টি পরিষেবা অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। যার মধ্যে ভবিষ্যৎ ঋণ কার্ড, ওবিসি পড়ুয়াদের বৃত্তি, বিধবা-পেনশন সহ অতিক্ষুদ্র সেচ ব্যবস্থা প্রকল্প।
এতদিন স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পে নাম নথিভুক্ত না থাকলে মিলছিল না লক্ষ্মী ভাণ্ডারের সুবিধা। তবে ষষ্ঠ দফায় দুয়ারে সরকারে স্বাস্থ্য সাথী কার্ড ছাড়াও মিলবে লক্ষ্মী ভাণ্ডারের সুবিধা। রাজ্য সরকারের দুয়ারে সরকার পোর্টাল অনুযায়ী শুধুমাত্র বুধবার দুপুর ৩টে ৩০ মিনিট পর্যন্ত মোট ২৩ লক্ষ্য ৮২হাজার ৭৭ জন রাজ্যবাসী কর্মসূচীতে অংশ নিয়েছে।
বুধবার বরাহনগর বিভিন্ন ওয়ার্ডে চললো এই কর্মসূচী। এদিন বনহুগলী বনরিনি কমিউনিটি হলে সকাল থেকে সাধারণত মানুষের উপস্থিতি দেখা যায়। বার্ধক্য ভাতা, স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পে নাম নথিভুক্ত করার সাথে সাথে স্বাস্থ্য পরীক্ষার ছিল বিশেষ সুযোগ।
বরাহনগর পুরসভার চেয়ারপার্সন অপর্ণা মৌলিক বলেন ১, ১৪, ১৫,১৬,১৭,১৮ এই কটি ওয়ার্ড নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মস্তিষ্ক প্রসূত দুয়ারে সরকার কর্মসূচী হচ্ছে বনহুগলী বনরিনি কমিউনিটি হলে। দুয়ারে সরকার আওতায় বেশ কিছু প্রকল্প সংযোজন হয়েছে। আগে স্বাস্থ্যসাথীতে নাম নথিভুক্ত না থাকলে লক্ষ্মী ভাণ্ডারে নাম নথিভুক্ত করা যাচ্ছিল না। তবে এবার রাজ্য সরকার থেকে জানানো হয়েছে স্বাস্থ্যসাথীতে নাম না থাকলেও লক্ষ্মী ভাণ্ডারে নাম নথিভুক্ত করা যাবে। প্রচুর মানুষ আসছে তাদের মধ্যে উদ্দীপনা যথেষ্ট। বিভিন্ন প্রকল্পে নাম নথিভুক্ত করার সাথে সাথে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করছেন এখানে এসে।
বরাহনগর ১৫ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা কাজল দাস জানান আমি এসেছি বার্ধক্য ভাতার আবেদনের জন্য। একদম ঘরের দুয়ারে সরকার । বাড়ি থেকে যা পায়ে হেঁটে ১মিনিটের দূরত্ব। বিগত দিনে এই সকল কাজ গুলি নিয়ে পুরসভায় যেতে হতো। ঘরের সামনে এই সুবিধা পেয়ে ভীষন উপকৃত। আশাকরি এ ধরণের প্রকল্প আরও এগিয়ে যাবে। তার জন্য রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ধন্যবাদ।
১৭ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা তাপসী মান্না বলেন বার্ধক্য ভাতার আবেদনের জন্য এখানে এসেছি। আগে এই সুবিধা ছিল না। আবেদনপত্র জমা দেওয়া হয়েছে । তবে যতক্ষণ না মোবাইলে এসএমএস আসছে ততক্ষণ পর্যন্ত খুশি হতে পারছি না।
সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত চলে এই ক্যাম্প। প্রতিটি অঞ্চলের পৌরপ্রতিনিধি কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন। সকাল থেকেই কর্মসূচিতে সাধারণ মানুষর ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো।