পল্লব হাজরা, বরাহনগর: নিয়মিত যোগাভ্যাসের মধ্যে দিয়ে যেমন আসে মানসিক শান্তি তেমনই শারীরিক ও মানসিক বিকাশে যোগের অবদান অপরিসীম। কংক্রিটে ঘেরা শহরে শিশুদের মধ্যে লক্ষ্যনীয় ভাবে বাড়ছে মোবাইলে খেলার প্রতি আসক্তি। তাই শিশুদের পড়াশোনার পাশাপাশি যোগাভ্যাসে উদ্যোগী হচ্ছেন অভিভাবকেরা।
চলতি মাসের ২রা এপ্রিল মহারাষ্ট্রের নাভি মুম্বাইয়ে আয়োজিত হয় ‘থার্ড ইন্টারন্যাশনাল যোগাসন চ্যাম্পিয়নশিপ নব রাষ্ট্র ২০২৩’। সৌরভ পাওয়ার যোগ সেন্টারের ছাত্রছাত্রীরা যার মধ্যে ১৯ টি পদক নিয়ে আসেন এরাজ্যে। বেশির ভাগ প্রতিযোগী বরাহনগর এর বাসিন্দা। আন্তর্জাতিক যোগা প্রতিযোগিতায় ট্র্যাডিশনাল চ্যাম্পিয়ন রাউন্ড, চ্যাম্পিয়ন অফ চ্যাম্পিয়ন রাউন্ড, সহ ট্রাডিশনাল ইনটিয়াল রাউন্ড এর মধ্যে দিয়ে পুরুষ ও মহিলা বিভাগের প্রতিযোগীরা জয় সুনিশ্চিত করে। প্রতিযোগিতায় অংশকারীর মধ্যে দীপা দত্ত ,সৌমী কুন্ডু, শ্রেয়া দাস, তিতলি দত্ত, রাশিকা ভূঁইয়া, শুভম দত্ত , সায়ক বিশ্বাস সহ শ্রেষ্ঠা দত্তের ঝুলিতে এসেছে একাধিক মেডেল। শুক্রবার বিকেলে জয়ী প্রতিযোগীদের নিয়ে বরাহনগর ১৭ নং ওয়ার্ডের পৌরপ্রতিনিধি অঞ্জন পাল- এর উদ্যোগে একটি বর্ণাঢ্য পদযাত্রা বের হয়। বরাহনগর বিবেক মোড় থেকে শুরু হয়ে বিভিন্ন পথ পরিক্রম করে বিবেক মোড়ে শোভাযাত্রার সমাপ্তি ঘটে।
পৌরপ্রতিনিধি অঞ্জন পাল জানান মুম্বাইতে চলতি মাসে আন্তর্জাতিক যোগা প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। অহংকার ও গর্বের বরাহনগর থেকে এই যোগাসন প্রতিযোগিতায় ক্ষুদে প্রতিযোগীরা সোনা রুপা ও ব্রোঞ্জের মত পদক আদায় করে নিয়ে এসেছে। যা যথেষ্ঠ গর্ব ও অহংকারের বিষয়। তাই প্রতিযোগী সহ তাদের অভিভাবক ও প্রশিক্ষকদের নিয়ে একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা আয়োজন করা হয়েছে। ভবিষ্যতে প্রতিযোগীদের উৎসাহ দিতেই এই পদযাত্রার আয়োজন। পরবর্তী সময় প্রতিযোগীদের বিশেষভাবে সম্মানিত করা হবে বলে জানান অঞ্জন পাল।
ট্র্যাডিশনাল ইন্টেল রাউন্ড , ট্র্যাডিশনাল চ্যাম্পিয়ন রাউন্ড , চ্যাম্পিয়ন অফ চ্যাম্পিয়ন রাউন্ড ও আর্টিস্টিক সোলো রাউন্ডে স্বর্ণপদক জয়ী প্রতিযোগী শ্রেষ্ঠা দত্ত জানান, এই জয় ছিনিয়ে এনে দেশের মুখ উজ্জ্বল করতে পেরে ভীষন খুশি। সকলে একসাথে পদক নিয়ে আসায় যথেষ্ট আনন্দিত।
প্রশিক্ষক সৌরভ নায়ক বলেন, এর আগে নানান আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় যাওয়ার সুযোগ আসলেও প্রতিযোগীদের কাছে বাঁধ সাধে অর্থনৈতিক সমস্যা। তবে দেশে মধ্যে নাভি মুম্বাইয়ে এই প্রতিযোগিতা হওয়ায় অনেকটা সুবিধা হয়েছে। এই প্রতিযোগিতায় মোট ১৮ টি দেশ অংশগ্রহণ করে। যার মধ্যে বাংলায় আসে ১১ টি স্বর্ণ ৪টি রূপো সহ ৪টি ব্রোঞ্জ পদক। সব কয়টি পদকই এই ক্ষুদে প্রতিযোগিদের ঝুলিতে।
আজকের এই পদযাত্রায় স্বভাবত খুশির হাওয়া প্রতিযোগী ,অভিভাবক ও প্রশিক্ষকদের মধ্যে। বর্ণাঢ্য পদযাত্রায় প্রতিযোগী, অভিভাবক প্রশিক্ষক সহ সাধারণ মানুষের ভিড় ছিল লক্ষ্যনীয়।