নিজস্ব প্রতিনিধি, শ্যামনগর: শ্যামনগর স্টেশনের সামনে ‘বেআইনিভাবে’ অটো রাখা ঘিরে চরম অশান্তি সৃষ্টি হয়। সিভিক ভলান্টিয়ার ও পুলিশ কর্মীকে মারধরের অভিযোগ ওঠে অটো চালকদের বিরুদ্ধে। জখম ৫ সিভিক ভলান্টিয়ার ভাটপাড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
বেশ কয়েক মাস ধরেই শ্যামনগর স্টেশন সংলগ্ন অঞ্চলে অটোচালকদের দৌরাত্ব শুরু হয় ভোর ৬টা থেকেই। শুধু অটো নয় সাথে টোটো চালকেরাও সারি দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকে স্টেশন সংলগ্ন পরিসর কম থাকা ঘোষপাড়া রোডের উপর। ফলে সকাল থেকেই স্কুলের বাস, পুলকার সহ অফিস যাত্রীদের নাভিশ্বাস উঠে যায় ওই অঞ্চল টুকু পার হতে।
নিত্যযাত্রীদের ট্রেন ধরতে প্রায় প্রত্যেকদিন অটো ও টোটো চালকদের সাথে রীতিমত ঝগড়া করে স্টেশনে ঢুকতে হয়। বহুবার দাঁড়িয়ে থাকা পুলিশ এবং সিভিক ভলেন্টিয়ারদের বলেও কোন সুরাহা হয়নি।
স্টেশনের সামনে দীর্ঘক্ষণ অটো দাঁড় করিয়ে রাখার অভিযোগ। সম্পূর্ণ ভরতি না হওয়া পর্যন্ত অটো সরাতে চান না চালকরা, বারবার এমন অভিযোগ করেছেন এলাকার দোকানি থেকে শুরু করে অফিস যাত্রীরা।
বৃহস্পতিবারও স্টেশনের সামনে অটো দাঁড় করিয়ে রাখেন চালকরা। সেইসময় এক সিভিক ভলান্টিয়ার বারণ করলে তাঁর উপর চড়াও হন চালকরা। এমনই অভিযোগ। দু’পক্ষের মধ্যে প্রথমে বচসা, পরে হাতাহাতি শুরু হয়ে যায়।
খবর পেয়ে ছুটে আসেন পুলিশ কর্মীরাও। তাতে অশান্তির পারদ চড়ে আরও। দু’পক্ষের মধ্যে মারামারি বেঁধে যায়। আহত হন পাঁচ সিভিক পুলিশ। তাঁদের উদ্ধার করে ভাটপাড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। প্রাথমিক চিকিৎসা করানো হয়।
সিভিক পুলিশের অভিযোগ, স্টেশনের সামনে বেআইনিভাবে অটো দাঁড় করিয়ে রাখে। প্রতিবাদ করলে খুনের হুমকি দেয়। এদিন অটো সরাতে বলায় বচসা বেঁধে যায়। তা হাতাহাতি অবধি গড়ায়। পুলিশ কর্মীকে ধাক্কা দেয় অটোচালকরা দাবি জখম সিভিক ভলান্টিয়ারদের।