পল্লব হাজরা, দক্ষিনেশ্বর: বাংলার বিভিন্ন প্রান্তে শক্তিরূপে পূজিত হন দেবী কালী। কালীক্ষেত্রগুলিতে দেবী বিভিন্ন নামে পরিচিত যেমন তারাপীঠে তাঁরা আবার দক্ষিণেশ্বরে মা ভবতারিণী। অমাবস্যার বিশেষ তিথিতে ভক্তদের আগমনে ভরে ওঠে এই তীর্থস্থানগুলি।
জৈষ্ঠ মাসের অমাবস্যার পুণ্যতিথিতে দেবীকে আরাধনা করা হয় ফলহারিণী রূপে। মাতৃসাধকরা এই অমাবস্যাকে অত্যন্ত শুভ বলে মনে করে। এই দিনটির জন্য অপেক্ষা করে থাকেন অনেকেই। এই বিশেষ দিনে সব কর্মফল দেবীর চরণে সমর্পণ করতে হয়। আর ভক্তদের অর্জিত সমস্ত অশুভ কর্মফল হরণ করেন দেবী। তাই দেবী পূজিত হন ফলহরিণী রূপে।
মরশুমি ফল অর্থাৎ আম, জাম, লিচু দিয়ে দেবীকে পুজো করা হয়। প্রচলিত আছে ফলহারিণী পুজোর মধ্যে দিয়ে সমস্ত বিপদ, দৈন্য, ব্যাধি এবং সমস্ত অশুভ শক্তির বিনাশ ঘটে। ঐশ্বর্য্য, আরোগ্য, বল, পুষ্টি, ও গৌরব প্রদান করেন মা কালী।
বিশুদ্ধ পঞ্জিকা মতে এ বছর পুজোর সময় বৃহস্পতিবার রাত ৯টা ১৩ মিনিট ৩৬ সেকেন্ডে। শেষ হবে পরদিন রাত ৮টা ৪৩ মিনিট ২৩সেকেন্ড।
কথিত আছে ১২৮০ বঙ্গাব্দে জ্যৈষ্ঠ মাসে অমাবস্যা তিথিতে শ্রী রামকৃষ্ণ জগৎ কল্যাণে তাঁর স্ত্রী শ্রীমা সারদা দেবীকে ষোড়শীরূপে পুজিত করায় আজও রামকৃষ্ণ মঠ গুলিতে এই পুজো ষোড়শী পুজো হিসাবে পরিচিত। ফলে রামকৃষ্ণ মঠ গুলিতে এই তিথির গুরুত্ব অপরিসীম।
বৃহস্পতিবার ফলহারিনী কালীপুজো উপলক্ষে দক্ষিণেশ্বর ভবতারিনী মন্দিরে ঘটে ভক্ত সমাগম। বহুদূরান্ত থেকে আগত পুজোর ডালি নিয়ে পুণ্যার্থীদের লম্বা লাইন দেখা যায় মন্দির চত্ত্বরে। গঙ্গায় নারায়ণ ঘট স্নানের পর বিশেষ পুজো শুরু হয়। এদিন লাল বেনারসী শাড়ি দিয়ে সাজানো হয় বিগ্রহ। চলে বিশেষ পুজোর্চনা। সকাল থেকেই মন্দিরে ঢল নামে ভক্তদের।