পল্লব হাজরা, বরানগর: একটু বৃষ্টিতেই জলমগ্ন হয়ে পরে বরানগর সংলগ্ন বি টি রোড। তাই নিকাশি ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজাতে উদ্যোগী হয়েছে রাজ্যে সরকার। কেএমডিএ(KMDA) ও বরানগর পুরসভার প্রচেষ্টায় বেশ কয়েক মাস বিটি রোডে চলছে নিকাশি ব্যবস্থা সংস্করণের কাজ। এই কাজে তত্ত্বাবধায়ক হিসেবে কাজ করছে পি ডব্লু ডি(PWD)। বরানগর টবিন রোড থেকে ডানলপ পর্যন্ত রাস্তা অর্ধেকের বেশি অংশ জুড়ে চলছে ম্যানহোল(Manhole) বসানোর প্রক্রিয়া। যার জেরে ভোগান্তি বাড়ছে চাকরিজীবী থেকে নিত্যযাত্রীদের। বাড়ছে দুর্ঘটনার প্রবনতা।
কলকাতা ও উত্তরশহরতলী সংযোগকারী একটি গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা ব্যারাকপুর ট্রাঙ্ক রোড। প্রত্যেক দিন বরানগর কাছে আসতেই শ্লথ হচ্ছে গাড়ির গতি। অফিসের সময় থেকে অফিস ফেরার পথে যাত্রীদের পোহাতে হচ্ছে যানজটের যন্ত্রনা। মাঝে মধ্যেই তাতে আটকে পড়ছে অ্যাম্বুলেন্স। বিটি রোড কে এড়িতে অনেকে তাই বেছে নিচ্ছে সমান্তরলা ভাবে চলা পার্শ্ববর্তী গোপাল লাল ঠাকুর রোড । ফলে সেই রাস্তাও বাড়ছে গাড়ির চাপ।
পেশায় গাড়ি চালক অরুন মণ্ডল-এর দাবি, মাস দুয়েক রাস্তা খোড়ার কাজ চলছে। রাস্তার উপর যাতে জল না জমে তাই টিবিন রোড থেকে ডানলপ পর্যন্ত চলছে বিটি রোডের উপর ম্যানহোল বসানোর কাজ। চওড়া রাস্তা খুঁড়ে ছোট করে দেওয়ার পরে বাড়ছে গাড়ির লম্বা লাইন। আবার মাঝেমধ্যেই ঘটে যাচ্ছে দুর্ঘটনা। অফিস টাইম অথবা সন্ধ্যের দিকে ট্রাফিক পুলিশের দেখা গেলেও বাকি সময় তাদের আর দেখা মেলে না এমনটিই অভিযোগ করেন তিনি।
অফিস ফেরত বাইক আরোহী দেবাশীষ বিশ্বাস বলেন, রাস্তায় কাজ হওয়ার ফলে প্রায়ই যানজটে আটকে পড়তে হয়। সরু রাস্তা হয়ে যাওয়ায় প্রাণের ঝুঁকি অনেকটাই বেড়ে গেছে।
ঘটনা প্রসঙ্গে বরানগর পুরসভার পুরপারিষদ সদস্য অঞ্জন পাল এক কথায় পথ চলতি মানুষের দুর্ভোগের কথা স্বীকার করে নিয়ে বলেন, ‘একটু বর্ষাতেই বরানগরের পূর্ব প্রান্তে থাকা ঘোষপাড়া, মল্লিক কলোনি, অশোকগর অঞ্চল গুলি প্লাবিত হত। গত ৩৪ বছর বাম আমলে বিটি রোডের নিচে থাকা নর্দমা ডিসিলটিং(Desilting)করা হয়নি। তবে বর্তমান রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে কেএমডিএ(KMDA) ও বরানগর পুরসভার সহযোগিতায় ডিসিলটিং এর জন্য ৩কোটির বেশি টাকা বরাদ্দ হয়েছে। পাশাপাশি বিটি রোডের ম্যানহোল(Manhole) গুলি রাস্তার থেকে অনেক নীচে নেমে আসায় ৫৫টি ম্যানহলের মধ্যে আপাতত সংস্কার করা সম্ভাব হয়েছে ২৫টি । এই সংস্করণের ফলে বিটি রোডের উপর যানচলাচলের সম্যসা হচ্ছে । তবে কাজটি সম্পূর্ণ হলে স্থায়ী ভাবে জল যন্ত্রনা থেকে মুক্তি পাবে বরানগরবাসী থেকে পথ চলতি মানুষ। কাজটি যাতে দ্রুত শেষ হয় সেই দিকেও নজর রাখা হয়েছে।’
তবে সমস্যা হলেও কিছু মানুষ বলছেন সমস্যা সমাধান হতে গেলে এতটুকু সম্যসা তো মানিয়ে নিতেই হবে। কবে আবার স্বাভাবিক ছন্দে ফিরবে চেনা রাস্তা, নিত্যযাত্রীরা এখন শুধু সেই দিকেই তাকিয়ে।