খবর এইসময়, ন্যাশনাল ডেস্কঃ জামুইয়ের বারনার নদীর উপর নির্মিত সোনা-চুরহাট কজওয়ে ব্রিজটি হঠাৎ করেই তলিয়ে যায়। পানির প্রবল স্রোতে সেতুর তিন থেকে দশ নম্বর পিলার ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে ডুবে যায়। ঘটনার পর এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। সেতু ভেঙে পড়ার খবর পেয়ে এলাকার মানুষ ছুটে আসেন। পরে প্রশাসনকে জানানো হয়। প্রশাসন সঙ্গে সঙ্গে এসে যান চলাচল নিষিদ্ধ করে।
বর্তমানে সেতুর দুই প্রান্তে ব্যারিকেডিং করা হয়েছে। যান চলাচল বন্ধ থাকায় শহরের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে অনেক গ্রামের মানুষ। প্রশাসন কার্যক্রম সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করেছেপ্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, টানা বৃষ্টিতে নদীগুলোর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। পানির প্রবল স্রোতে সেতুটি ডুবে যায়। এই সেতুটি সোনো ব্লক সদর দফতরকে পশ্চিম অঞ্চলের সাথে সংযুক্ত করেছে। এ কারণে আশপাশের অনেক গ্রামের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। ব্রিজ ধসের খবর পেয়ে স্থানীয় প্রশাসন ঘটনাস্থলে পৌঁছে সতর্কতা হিসেবে সোনো চুরহাট কজওয়ে সড়কের কার্যক্রম সম্পূর্ণ বন্ধ করে দেয়।
সেতুর দুই পাশে ব্যারিকেডিং করা হয়েছে। প্রশাসন বলছে, যত দ্রুত সম্ভব সেতু মেরামতের কাজ করা হচ্ছে। এ বিষয়ে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। গ্রামবাসীরা বিরক্ত, হেডকোয়ার্টার যেতে এই ব্রিজ ব্যবহার করতস্থানীয় লোকজন জানান, বৃহস্পতিবার থেকে প্রবল বৃষ্টি হচ্ছে। পানির প্রবল স্রোতে বারনার নদীর ওপর নির্মিত সোনো চুরহাট কজওয়ে সেতুর তিন থেকে ১০টি পিলার নদীতে তলিয়ে গেছে। খবর পাওয়া মাত্রই সার্কেল অফিসার রাজেশ কুমার, থানার হেড চিত্তরঞ্জন কুমার ও এসআই বিপিন কুমার পুলিশ কর্মীদের নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান। তিনি ক্ষতিগ্রস্ত কজওয়ে ব্রিজ পরিদর্শন করেন।
এরপর সেতুর কাজকর্ম পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। স্থানীয় লোকজন জানান, এই সেতু দিয়ে অনেক গ্রামের মানুষ আসা-যাওয়া করে। কাজভে, চুরহাট এবং অন্যান্য গ্রামের লোকেরা ব্লক সদরে যাতায়াতের জন্য এই সেতুটি ব্যবহার করে। ছোট-বড় অনেক যানবাহনও চলাচল করছে। কিন্তু ব্রিজটি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় এখানকার গ্রামবাসীরা এখন অনেক সমস্যায় পড়েছেন।