নিজস্ব প্রতিনিধি,বাঁকুড়াঃ করোনা আবহে দেশ সহ গোটা রাজ্যেই চলছে লক ডাউন। কাজ নেই, নেই হাতে টাকাকড়ি । পেট বাঁচাতে গরিব-দুঃস্থদের ভরসা কেবল রেশনের সামগ্রী৷ কিন্তু সেই সব সামগ্রী নিয়েও একাধিকবার কালোবাজারির অভিযোগ ওঠায় জেরবার রাজ্যের খাদ্যদপ্তর৷ মুখ্যমন্ত্রী সহ রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী একাধিকবার দলীয়ভাবে এবং প্রশাসনিক স্তরে কড়াভাবে ফরমান জারি করলেও ফের সেই ঘটনা প্রকাশ্যে এল বাঁকুড়ার কোতুলপুরে৷ রেশনে সরবরাহ করা ২৫ ক্যুইন্ট্যাল আটা বাজেয়াপ্ত করল পুলিশ।
সূত্রের খবর, বুধবার কোতুলপুর নাকা চেকিং এ কর্তব্যরত পুলিশ কর্মীরা সন্দেহভাজন আটা বোঝাই একটি পিক আপ ভ্যান আটক করেন। ঐ পিক আপ ভ্যানের চালক বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারেননি। চালককে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানতে পারে গোপীনাথপুরের ভালুকা গ্রাম থেকে মাবিয়া গায়েনের বাড়ি থেকে সরাসরি গড়বেতা নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। পরে পুলিশ ও খাদ্য দপ্তরের আধিকারিকরা ঐ ব্যক্তির বাড়িতে গিয়ে তল্লাশি শুরু করলে সেখান থেকেও বেশ কিছু রেশনে সরবরাহ করা আটা উদ্ধার হয়।
খাদ্য দপ্তরের পক্ষ থেকে এবিষয়ে কোতুলপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। অভিযুক্ত পলাতক, পুলিশ অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে।স্থানীয় বিধায়ক ও রাজ্যের মন্ত্রী শ্যামল সাঁতরা ঘটনার বিবরণ দিয়ে বলেন, ‘রাজ্য সরকারের রেশন দ্রব্য নিয়ে কোন ধরণের কালোবাজারি বরদাস্ত করা হবেনা। পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী থেকে খাদ্য দপ্তর ও পুলিশের ভূমিকা নিয়ে ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন, মুখ্যমন্ত্রী যেখানে এই বিপর্যয়ের বিধবস্ত মানুষের পাশে দাঁড়াতে চাইছেন, সেখানে এই কালবাজারি একেবারেই মেনে নেওয়া যায় না।এই ঘটনায় যারা যুক্ত প্রত্যেকের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি জানান।’