ন্যাশনাল কনফারেন্সও অটল বিহারী বাজপেয়ীর সরকারের সময় (NC BJP Alliance) কেন্দ্রীয় রাজনীতিতে অংশগ্রহণ করেছিল। দলটি ভারত জোট থেকে সরে যাওয়ার ঘোষণা দেওয়ার পর থেকেই রাজনৈতিক জল্পনা চলছে ন্যাশনাল কনফারেন্স আবারও ভারতীয় জনতা পার্টির সঙ্গে যাবে কি না?
National Desk : ভারত জোট কখন গঠিত হয়েছিল এবং কখন সেটি ভেঙে গিয়েছিল তা সঠিকভাবে বলা খুব কঠিন। এর কারণ হল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন যে তিনি জোটে অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন কিন্তু একাই নির্বাচনে লড়বেন, যার মানে কংগ্রেসের সামনে টিএমসিও প্রার্থী থাকবে। এমনকি দিল্লি ও পাঞ্জাবে আম আদমি পার্টি ও কংগ্রেস একসঙ্গে আসতে পারেনি। উত্তর প্রদেশে রাষ্ট্রীয় লোকদল এবং বিহারে নীতীশ কুমারের জনতা দল ইউনাইটেডের অভ্যুত্থানের গল্প প্রায় প্রত্যেকেরই জানা।
এখন জম্মু ও কাশ্মীরেও রাজনৈতিক জল্পনা চলছে। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ও ন্যাশনাল কনফারেন্সের প্রধান ফারুক আবদুল্লাহ নিজেই এ বিষয়ে উৎসাহ দিয়েছেন। গতকাল তিনি বলেছেন আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে তাঁর দল একাই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে। তার মানে কংগ্রেসের সঙ্গে তাদের জোট হবে না। আসন ভাগাভাগি নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি নাকি অন্য কোনো কারণ আছে সে বিষয়ে খুব একটা স্পষ্টতা নেই। তবে ভারত ব্লকে আসন চুক্তি নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি বলে জানিয়েছেন আবদুল্লাহ। অতএব, এনসি অর্থাৎ ন্যাশনাল কনফারেন্স এখন নিজে থেকেই মানুষের মধ্যে যাবে।
ফারুক কি বিজেপির সঙ্গে যাবেন?
ফারুক আবদুল্লাহর এই ঘোষণার সময় নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। মাত্র দুদিন আগে অভিযুক্ত ক্রিকেট কেলেঙ্কারিতে আবদুল্লাহকে সমন পাঠায় ইডি। তবে ওই দিন জম্মুতে থাকায় ইডি-র সামনে হাজির হতে পারেননি তিনি। একটি রাজনৈতিক জল্পনা হচ্ছে আবদুল্লাহর দল ন্যাশনাল কনফারেন্স (NC BJP Alliance) আবারও ভারতীয় জনতা পার্টির সঙ্গে যেতে পারে। ফারুক আবদুল্লাহও এমন কোনো সম্ভাবনা উড়িয়ে দেননি।
ওমর আবদুল্লাহ ও বাজপেয়ী সরকার
মনে রাখা দরকার যে ন্যাশনাল কনফারেন্স অটল বিহারী বাজপেয়ীর সরকারে (NC BJP Alliance) জোটের অংশীদার ছিল। তার মানে বিজেপির সঙ্গে এই পরিবারের পুরনো রাজনৈতিক যোগাযোগ রয়েছে। 1998 থেকে 2002 এর মধ্যে, যখন বাজপেয়ী সরকার ক্ষমতায় ছিল, ন্যাশনাল কনফারেন্সও কয়েক বছর এই সরকারের অংশীদার ছিল। এদিকে তার ছেলে ওমর আবদুল্লাহ ২০০১ থেকে ২০০২ সাল পর্যন্ত প্রায় দেড় বছর পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ছিলেন। এই জোটের ভিত্তিতে দুই দলই একত্রিত হবে বলে জল্পনা রয়েছে। ন্যাশনাল কনফারেন্স যদি বিজেপির সাথে আসে তবে এটি কংগ্রেস এবং অন্যান্য বিরোধী দলগুলির জন্য কেবল কেন্দ্রীয় নয় রাজ্য রাজনীতিতেও একটি বড় ধাক্কা হবে।