কর্ণাটকের তিরুবনন্তপুরম লোকসভা (Loksabha Election2024) আসন থেকে বিজেপি প্রার্থী রাজীব চন্দ্রশেখরের হলফনামা খবরের শিরোনামে। এতে তিনি ২০২১-২০২২ এর জন্য তার করযোগ্য আয় হিসাবে ৬৮০ টাকা ঘোষণা করেছেন। এই হলফনামা নিয়ে নির্বাচন কমিশনের কাছে আপত্তি জানিয়েছে কংগ্রেস।
কংগ্রেসের অভিযোগের ভিত্তিতে নির্বাচন কমিশন মঙ্গলবার সেন্ট্রাল বোর্ড অফ ডাইরেক্ট ট্যাক্সেস (সিবিডিটি) কে রাজীব চন্দ্রশেখরের হলফনামা যাচাই করতে বলেছে। কংগ্রেস বলছে, নির্বাচনী হলফনামায় রাজীব তার আর্থিক অবস্থা সম্পর্কে ভুল তথ্য দিয়েছেন।
‘এটি গণপ্রতিনিধিত্ব আইন-১৯৫১-এর লঙ্ঘন’
দলটি বলেছে যে এটি জনপ্রতিনিধিত্ব আইন-১৯৫১ এবং ভারতীয় দণ্ডবিধির লঙ্ঘন। সূত্রের খবর অনুযায়ী, কমিশন CBDT-কে চন্দ্রশেখর তার হলফনামায় যে ঘোষণা দিয়েছেন তা যাচাই করতে বলেছে।
‘আপনার স্ত্রীর মতো আর্থিক বিবরণ শেয়ার করা গুরুত্বপূর্ণ’
নিয়ম অনুযায়ী প্রার্থীদের তাদের করযোগ্য আয়, স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ এবং দায়-দায়িত্বের বিবরণ জমা দিতে হবে। তাদেরও তাদের স্ত্রীর মতো একই আর্থিক বিবরণ শেয়ার করতে হবে।
আমরা আপনাদের জানাই যে, বিজেপি নেতা এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাজীব চন্দ্রশেখর তিরুবনন্তপুরম লোকসভা আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। রাজীব, পেশায় একজন উদ্যোক্তা এবং টেকনোক্র্যাট, বর্তমানে রাজ্যসভার সদস্য। তিনি রিয়েল এস্টেট বিলের জন্য রাজ্যসভা নির্বাচন কমিটির সদস্যও হয়েছেন। বিজেপির জাতীয় মুখপাত্র হওয়ার পাশাপাশি তিনি এনডিএ জোটের কেরালা গোষ্ঠীর সহ-সভাপতিও ছিলেন।
রাজীব চন্দ্রশেখর ২৮ কোটি টাকার বেশি সম্পদ ঘোষণা করেছেন। হলফনামায় ১৩,৬৯,১৮,৬৩৭ টাকার অস্থাবর সম্পদ উল্লেখ করা হয়েছে। তার স্ত্রীর সম্পত্তি ১২,৪৭,০০,৪০৮টাকা। অস্থাবর সম্পত্তিতে ১৯৪২ মডেলের একটি ‘রেড ইন্ডিয়ান স্কাউট’ও রয়েছে। চন্দ্রশেখরের ১৯,৪১,৯২,৮৯৪ টাকা দায় রয়েছে। স্ত্রীর দায় ১,৬৩,৪৩,৯৭২ টাকা। ২০২২-২৩ সালের আয়কর রিটার্নে, চন্দ্রশেখরের মোট আয় ৫,৫৯,২০০ টাকা হিসাবে রিপোর্ট করা হয়েছে, যা ২০২১-২২ সালে ছিল ৬৮০ টাকা।