২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের (Loksabha Election 2024) জন্য সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলি তাদের যথাসাধ্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ধারাবাহিকভাবে জনসভা ও জনসভায় ভাষণ দিচ্ছেন। একই সঙ্গে বিজেপির অন্যান্য সিনিয়র নেতারাও নির্বাচনী প্রচারে ব্যস্ত। ১৯ এপ্রিল থেকে প্রথম ধাপের নির্বাচন শুরু হবে কিন্তু বিজেপি এখনও তাদের ইস্তেহার প্রকাশ করেনি। ১৪ এপ্রিল বিজেপি তাদের ‘সংকল্প পত্র’ প্রকাশ করতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
ভারতীয় জনতা পার্টি ১৪ এপ্রিল আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের (Loksabha Election 2024) ইস্তেহার প্রকাশ করতে চলেছে বলে সূত্রের খবর। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, বিজেপি সভাপতি জেপি নাড্ডা, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের উপস্থিতিতে নির্বাচনী ইস্তেহার প্রকাশ করবে। সূত্র বলছে, প্রধানমন্ত্রী মোদীর সঙ্গে বৈঠকের পরই ইস্তেহারের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। ১৪ এপ্রিলের দিনটিকে বিশেষ হিসাবে বিবেচনা করা হচ্ছে কারণ এটি আম্বেদকর জয়ন্তী এবং নবরাত্রির পবিত্র দিনগুলিও চলছে। এমতাবস্থায় এই তারিখটি বেছে নেওয়ার বিষয়ে বিজেপির কিছু উদ্দেশ্য থাকতে পারে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের নেতৃত্বে ইস্তেহার কমিটি ইতিমধ্যে দুটি বৈঠক করেছে। বিজেপি তার ঘোষণাপত্রের জন্য ৫ লক্ষের বেশি পরামর্শ পেয়েছে, যার মধ্যে নমো অ্যাপের মাধ্যমে পরামর্শ পাওয়া গেছে ৪০ হাজারের বেশি। এছাড়া ১.১ মিলিয়নের বেশি পরামর্শ এসেছে ভিডিও মেসেজের মাধ্যমে।
ইস্তেহারে কি কি থাকতে চলেছে
দলীয় সূত্রের খবর, বিজেপির ইস্তেহারে উন্নয়ন, সমৃদ্ধ ভারত, মহিলা, যুবক, দরিদ্র ও কৃষকদের প্রতি নজর রেখে তৈরি করা হয়েছে। যে প্রতিশ্রুতিগুলো অর্জন করা যায় সেগুলোই পূরণ করার অঙ্গীকার করেছে দল। ইস্তেহারের থিম হবে “মোদির গ্যারান্টি: বিকশিত ভারত ২০৪৭”। সাংস্কৃতিক জাতীয়তাবাদকে বিশেষভাবে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে ইস্তেহারে।
ভারতীয় জনতা পার্টি নির্বাচনী ইস্তেহার কমিটি গঠন করা হয়ে ২৭ জন সদস্য নিয়ে। প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং এই কমিটির চেয়ারম্যান নিযুক্ত হয়েছেন। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনকে সমন্বয়কারী এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পীযূষ গোয়েলকে কো-অর্ডিনেটর করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, জাতীয় কংগ্রেস ইতিমধ্যে তাদের ইস্তেহার প্রকাশ করেছে। কংগ্রেস প্রধান মল্লিকার্জুন খাড়গে, সোনিয়া গান্ধী এবং রাহুল গান্ধী দলের ইস্তেহার প্রকাশ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। কংগ্রেসের ইস্তেহারের নাম দেওয়া হয়েছে ‘ন্যায়পত্র’। কংগ্রেসের ইস্তেহারে ২৫টি গ্যারান্টি দেওয়া হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে দরিদ্র পরিবারের কল্যাণ এবং মহিলাদের প্রতি বছর ১ লক্ষ টাকা সহায়তা। এ ছাড়া তরুণদের কর্মসংস্থানের বিষয়েও অনেক প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে।