অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পর এবার রাহুল গান্ধী। তৃণমূল কংগ্রেসের পর এবার জাতীয় কংগ্রেস। রবিবারের পর আজ সোমবার হেলিকপ্টারে তদন্ত (Rahul Gandhi Helicopter News) চালাল ইলেকশন কমিশন। সোমবার তামিলনাড়ুতে রাহুল গান্ধীর হেলিকপ্টারে তল্লাশি চালায় নির্বাচন কমিশনের আধিকারিকরা। রাহুল নির্বাচনী প্রচারে ওয়েনাডে যাচ্ছিলেন। নিউজ এজেন্সি পিটিআই জানিয়েছে যে তামিলনাড়ুর নীলগিরিতে নির্বাচনী আধিকারিকরা হেলিকপ্টারটি তদন্ত করেছেন যেটি কংগ্রেস নিয়ে এসেছিল রাহুল গান্ধীর জন্য। পুলিশ জানিয়েছে যে হেলিকপ্টারটি এখানে নামার পর ফ্লাইং স্কোয়াডে অফিসাররা তল্লাশি চালায়।
রাহুল কেরালার তার সংসদীয় নির্বাচনী এলাকা ওয়েনাডে যাচ্ছিলেন, যেখানে তাঁর একটি জনসভায় ভাষণ সহ বেশ কয়েকটি নির্বাচনী প্রচার কার্যক্রমে অংশ নেওয়ার কথা রয়েছে। তিনি টানা দ্বিতীয়বারের মতো ওয়েনাড থেকে লোকসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন যেখানে ২৬ এপ্রিল ভোট হবে।
রাহুল গান্ধীর প্রতিক্রিয়া
নীলগিরির পরে, রাহুল গান্ধী তার সংসদীয় নির্বাচনী এলাকা ওয়েনাডে পৌঁছন। সেখানে একটি রোড শো করেন। সেখানে রাহুল গান্ধী তার হেলিকপ্টার তল্লাশি প্রসঙ্গে বলেন, কখনও কখনও একটি পরিবারে ভাই এবং বোনের মধ্যে অনেক বিষয়ে মতামত আলাদা হয়, তবে এর অর্থ এই নয় যে তারা একে অপরকে ভালবাসে না, শ্রদ্ধা করে না বা যত্ন করে না। রাজনীতির প্রথম ধাপ একে অপরকে সম্মান করা।
তদন্তের জবাব দিয়েছে কংগ্রেস
কংগ্রেস সাংসদ জয়রাম রমেশ তদন্তের প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বলেছেন, “রাহুল গান্ধী অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হেলিকপ্টার তদন্ত করা হচ্ছে, আমাদের কোনও আপত্তি নেই। প্রধানমন্ত্রী মোদী ও অমিত শাহের হেলিকপ্টারও তল্লাশি করা উচিত। সবার সঙ্গে সমান আচরণ করা উচিত।”
কেরালায় সপ্তাহব্যাপী রাহুলের নির্বাচনী সফর
ওয়ানাডে জনসভার পর, রাহুল গান্ধী সোমবার সন্ধ্যায় উত্তর কোঝিকোড়ে ইউনাইটেড ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউডিএফ) সমাবেশে ভাষণ দেবেন। রাহুল আবার ১৬ এপ্রিল ওয়েনাদে পৌঁছাবেন, তারপরে ১৮ এপ্রিল কান্নুর, পালাক্কাদ এবং কোট্টায়ামে মিটিংয়ে যোগ দেবেন। রাহুল ২২ এপ্রিল ত্রিশুর, তিরুবনন্তপুরম এবং আলাপুজা জেলায় সমাবেশে ভাষণ দেবেন।
রাহুল গান্ধী ৩ এপ্রিল ওয়েনাড আসন থেকে মনোনয়ন জমা দিয়েছিলেন। এর আগে তিনি বোন প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর সঙ্গে এক ঘণ্টার রোড শো করেন। রাহুলের নির্বাচনী হলফনামা অনুযায়ী, তার সম্পদের পরিমাণ ২০ কোটি টাকারও বেশি। তবে তার নিজের বাড়িও নেই, গাড়িও নেই। গত পাঁচ বছরে তার সম্পদ বেড়েছে প্রায় ৫ কোটি টাকা। এর পরেও তার ৫০ লাখ টাকা ঋণ রয়েছে। রাহুলের কাছে নগদ ৫৫ হাজার টাকা রয়েছে। ৯.২৪ কোটি টাকার অস্থাবর সম্পদ এবং ১১.১৪ কোটি টাকার অস্থাবর সম্পদ রয়েছে। তার বিরুদ্ধে মোট ১৮টি ফৌজদারি মামলা রয়েছে।