দিল্লির আবগারি মামলায় (Delhi liquor scam) সোমবার আদালতের শুনানিতে স্বস্তি পেলেন না দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। সুপ্রিম কোর্ট থেকে ত্রাণ না পাওয়ার পরে, রাউজ অ্যাভিনিউ কোর্টও আপ নেতা তথা দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর বিচার বিভাগীয় হেফাজত ২৩ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়িয়েছে। এর আগে, সুপ্রিম কোর্ট অবিলম্বে কেজরিওয়ালের আবেদন শুনতে অস্বীকার করে এবং ২৯ এপ্রিল পর্যন্ত বিষয়টি স্থগিত করে। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর আবেদনে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ইডি) কাছে জবাব চেয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। আদালত আপ নেতার আবেদনের জবাব দেওয়ার জন্য ইডিকে ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত সময় দিয়েছে।
বিচারপতি সঞ্জীব খান্না এবং দীপঙ্কর দত্তের একটি বেঞ্চ দিল্লি হাইকোর্টের আদেশকে চ্যালেঞ্জ করে কেজরিওয়ালের আবেদনে ইডি-কে নোটিশ জারি করেছে যা এই মামলায় তাঁর গ্রেপ্তার বহাল রেখেছিল। বেঞ্চ ইডিকে ২৪ এপ্রিলের মধ্যে আবেদনের জবাব দিতে বলেছে। বেঞ্চ জানিয়েছে যে ২৯ এপ্রিল থেকে শুরু হওয়া সপ্তাহে মামলার শুনানি হবে। হাইকোর্ট ৯ এপ্রিল মানি লন্ডারিং মামলায় কেজরিওয়ালের গ্রেপ্তারকে বহাল রেখেছিল এবং বলেছিল যে বারবার সমন জারি করা এবং তদন্তে যোগ দিতে অস্বীকার করার পরে ইডির কাছে ‘কম বিকল্প’ অবশিষ্ট ছিল।
দিল্লি হাইকোর্ট আম আদমি পার্টি নেতা কেজরিওয়ালের আবেদন প্রত্যাখ্যান করেছিল যেটি ইডি দ্বারা তার গ্রেপ্তার এবং পরবর্তীতে তাকে ফেডারেল সংস্থার হেফাজতে পাঠানোর চ্যালেঞ্জ করেছিল। এই মামলাটি ২০২১-২২-এর জন্য দিল্লি সরকারের আবগারি নীতি প্রণয়ন এবং বাস্তবায়নে কথিত দুর্নীতি এবং অর্থ পাচারের সাথে সম্পর্কিত। পরবর্তীতে সংশ্লিষ্ট নীতি বাতিল করা হয়। হাইকোর্ট তদন্তকারী সংস্থার শাস্তিমূলক পদক্ষেপ থেকে সুরক্ষা দিতে অস্বীকার করার কয়েক ঘন্টা পরেই ইডি ২১ মার্চ কেজরিওয়ালকে গ্রেপ্তার করেছিল।
এদিকে, পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মান সোমবার মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে বেড়িয়ে পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী একাধিক অভিযোগ করেন। তিনি বলেছেন, জঙ্গিদের সঙ্গে যেভাবে ভিজিটরদের দেখা করতে দেওয়া হয়, সেভাবেই দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁকে দেখা করতে দেওয়া হয়েছে। এটাই স্বৈরাচারের আস্পর্ধা।
তিনি বলেন, ‘ফোনে গ্লাস দিয়ে কথা হয়েছে। এটা খুব বাড়াবাড়ি, মোদিজি কী চান? যারা বিজেপির রাজনীতির বিরুদ্ধে লড়াই করছেন, তাদের সঙ্গে এমন আচরণ করা হচ্ছে। তাদের কি দোষ? তারা কেজরিওয়ালের সঙ্গে এমন আচরণ করছে যেন কোন বড় সন্ত্রাসী ধরা পড়েছে। জেল ম্যানুয়ালে বলা হয়েছে, যাদের আচরণ ভালো তাদের সঙ্গে সামনাসামনি দেখা করা যেতে পারে।