সাত দফার লোকসভা নির্বাচনের প্রথম দফা সম্পন্ন হয়েছে গতকাল। একদিন পরেই রাহুল গান্ধীর সংসদীয় এলাকা ওয়ানাডে বড়সড় ধাক্কা খেল কংগ্রেস। ওয়ানাড জেলা কংগ্রেস কমিটির সাধারণ সম্পাদক কংগ্রেস থেকে পদত্যাগ করেছেন এবং বিজেপিতে যোগ (Left Congress to BJP) দিয়েছেন। বিজেপিতে যোগদানের পরে মিডিয়াকে সম্বোধন করে, জেলা সম্পাদক সুধাকরণ বলেছিলেন যে বর্তমান সাংসদ এবং ওয়ানাড লোকসভা আসন থেকে কংগ্রেস প্রার্থী রাহুল গান্ধী দলের জেলা নেতাদের কাছে দুর্গম। তিনি হাতের নাগালের বাইরে।
সুধাকরন বলেন, তিনি যদি আমার নাগালের বাইরে থাকেন, তাহলে একজন সাধারণ মানুষের অবস্থা কল্পনা করুন। তাকে পাঁচ বছর সময় দেওয়া হয়েছিল। আমরা যদি আরেকটি মেয়াদ দিই, তাহলে তা ওয়ানাডের উন্নয়নের সম্ভাবনাকে ধ্বংস করবে। তিনি আমেঠি থেকে নির্বাচনে লড়বেন না বলে ঘোষণা করার জন্য রাহুল গান্ধীকে চ্যালেঞ্জও দিয়েছেন। বিজেপি এক বিবৃতিতে বলেছে যে আরও দু’জন “বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব”ও বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন।
ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিআই-এম) নেতৃত্বাধীন বাম গণতান্ত্রিক ফ্রন্ট (এলডিএফ) ভারতের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিআই) সিনিয়র নেতা অ্যানি রাজাকে ওয়ানাড আসন থেকে এবার প্রার্থী করেছে। বিজেপির পক্ষ থেকে রাজ্যের প্রধান কে. সুরেন্দ্রনকে প্রার্থী করা হয়েছে। ২৬ এপ্রিল কেরালায় লোকসভা নির্বাচনের ভোট হবে।
আমরা আপনাকে বলি যে ২০১৯ সালে রাহুল গান্ধী ওয়ানাড লোকসভা আসন থেকে সাংসদ নির্বাচিত হয়েছিলেন। আমেঠি থেকে নির্বাচনে হেরেছিলেন তিনি। রাহুল গান্ধীও এবার লোকসভা নির্বাচনে লড়ছেন ওয়ানাড থেকে। মনে করা হচ্ছে এই আসনটি রাহুল গান্ধীর জন্য নিরাপদ এবং তিনি এবারও জিততে পারেন।
এদিকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আজ মহারাষ্ট্রের নান্দেদে একটি নির্বাচনী জনসভায় ভাষণ দেন। সেখানে তিনি কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীকে কটাক্ষ করেন। তিনি বলেন যে ‘যেমন তিনি আমেঠি ছেড়েছেন, সেভাবেই তিনি ওয়েনাডও ছাড়বেন।’ মোদির এই কটাক্ষের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই রাহুলের সংসদীয় এলাকার সম্পাদকের কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগদানের খবর সামনে এল।
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের নির্বাচনে রাহুল গান্ধী আমেঠির পাশাপাশি কেরালার ওয়েনাড আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। আমেঠিতে তিনি বিজেপির স্মৃতি ইরানির কাছে পরাজিত হন। কিন্তু ওয়েনাড আসনে জিতে লোকসভায় সদস্য হওয়ার যোগ্যতা অর্জন করেছিলেন।