খবর এইসময়, কলকাতাঃ ফের বিতর্কে গর্গ চট্টোপাধ্যায়। যিনি নিপীড়িত বাঙালির অধিকারের যোদ্ধা তথা, ভারতের বাঙালি জাতীয়তাবাদী সংগঠন বাংলাপক্ষের সভাপতি, সেই অধ্যাপক ডাঃ গর্গ চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে অহম রাজবংশের প্রতিষ্ঠাতাকে অসম্মান করার অভিযোগে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে । যার পরিপ্রেক্ষিতে তাঁকে গ্রেফতারের নির্দেশ দিয়েছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী।
https://twitter.com/GargaC/status/1273281673241608193?s=20
গর্গ চট্টোপাধ্যায়ের একাধিক টুইট ঘিরে ঘটনার সূত্রপাত । যেখানে তিনি অহম রাজবংশের প্রতিষ্ঠাতাকে অসম্মান করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। গর্গবাবু লেখেন, “ভারতের অসমে বিজেপি শাসিত সরকার করদাতাদের টাকায় চিনা হানাদারের মূর্তি স্থাপন করতে চলেছেন।” একটি টুইটে অসমের মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সনোয়ালকে ট্যাগও করে দিয়েছিলেন গর্গবাবু।

নানাবিধ উপায়ে বাঙালির পাশে দাঁড়িয়েছে বাংলাপক্ষ। নিয়মিত বাঙালির অধিকার আদায়ের দাবিতে প্রকাশ্য রাস্তায় সরব হতে দেখা গিয়েছে গর্গ চট্টোপাধ্যায় এবং তাঁর অনুগামীদের। লকডাউনের পরে সোশ্যাল মিডিয়ায় বিস্তার লাভ করেছে তাঁদের কর্মকাণ্ড। কলকাতার বাসিন্দা এই জনপ্রিয় ব্যক্তির টুইট এড়িয়ে যায়নি প্রশাসনের।
অসমের ডিব্রুগড় থানায় গর্গবাবুর বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ভাস্কর জ্যোতি গগৈ। তাঁর অভিযোগ, “অহম রাজবংশের প্রতিষ্ঠাতা সুকাফাকে চিনা হানাদার বলে উল্লেখ করেছেন গর্গ চট্টোপাধ্যায়। যা অত্যন্ত অসম্মানজনক। তিনি উত্তরপূর্ব ভারতের ইতিহাস বিকৃত করার চেষ্টা করছেন।”
এই অভিযোগ প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই নড়ে বসেছে অসম প্রশাসন। সূত্রের খবর খোদ মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সনোয়াল অসম পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন গর্গ চট্টপাধ্যায়কে গ্রেফতার করার জন্য। সেই নির্দেশ মোতাবেক অসম পুলিশ শুক্রবার কলকাতার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন বলেও জানা গিয়েছে।
এই বিষয়ে প্রতিক্রিয়া চেয়ে ফোন করা হলে গর্গবাবুকে ফোনে পাওয়া যায়নি। এই বিষয়ে বাংলাপক্ষের অপর সহযোদ্ধা কৌশিক মাইতি বলেছেন, “বাঙালির শত্রু বিজেপি হুঁশিয়ার। গর্গ চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করা যাবে না। আসামের মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সনোয়াল হুঁশিয়ার। আসাম পুলিস গো ব্যাক।