খবর এইসময়, নিউজ ডেস্কঃ আজ ২১শে জুন আন্তর্জাতিক যোগ দিবস।দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সকালেই জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দেন। তিনি বলেন,করোনাভাইরাসের এই পরিস্থিতিতে সারা বিশ্বে যোগের গুরুত্ব তুলনায় অনেকটা বেড়েছে। যোগের ফলে মানুষের শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। যা করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সহায়তা করে।বেশ কিছু সংস্কৃত উদ্ধৃত তুলে ধরেন।এদিন যোগের ব্যপ্তি ও গুরুত্ব নিয়ে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, বাড়িতে বসে ব্যায়াম করা মানেই শুধু যোগ নয়, বরং নিজের কাজ সঠিকভাবে পালন করার অর্থ হল যোগ।
এবার মোদী কী কী বললেন একনজরে দেখে নেওয়া যাক-
১) গীতায় ভগবান কৃষ্ণ যোগের ব্যাখ্যায় বলেছেন, কাজের দক্ষতাই হল যোগ।
২) আমাদের এখানে এটাই বলা হয়েছে, সঠিক খাবার, সঠিক খেলা, ঘুমের সঠিক অভ্যেস এবং ঘুম থেকে ওঠার এবং নিজের কাজ এবং দায়িত্ব ঠিকভাবে করাই হল যোগ।
৩) সচেতন নাগরিক হিসেবে আমরা পরিবার এবং সমাজের সঙ্গে একজোট হয়ে এগিয়ে যাব। ‘বাড়িতে যোগ এবং পরিবারের সঙ্গে যোগ’-কে জীবনের অংশ বানানোর চেষ্টা করব।
৪) স্বাস্থ্যকর পৃথিবীর অনুসন্ধানের ক্ষেত্রে আমাদের চেষ্টা আরও বাড়িয়ে তোলে যোগ। এটা ঐক্যের শক্তি হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে এবং মানবতার বন্ধনকে আরও দৃঢ় করেছে। এটা বৈষম্য করে না। তা জাতি, বর্ণ, লিঙ্গ, বিশ্বাস এবং দেশের গণ্ডি টপকে যায়। যে কেউ যোগ করতে পারেন।
৫) যোগের অর্থই হল – অনুকূলতা-প্রতিকূলতা, সফলতা-বিফলতা, সুখ-সংকট, যে কোনও পরিস্থিতিতে অবিচল থাকাই হল যোগ। একনিষ্ঠ থাকাই হল মূল বিষয়।
৬) স্বামী বিবেকানন্দ বলেছিলেন, ‘একজন আদর্শ ব্যক্তি হলেন তিনি, যিনি সম্পূর্ণ নির্জনতায় সচল থাকেন এবং চূড়ান্ত উথালপাতালের মধ্যে পুরোপুরি শান্তি অনুভব করতে পারেন। যা যে কোনও ব্যক্তির একটি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব।’
৭) করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে সারা বিশ্বের মানুষ যোগের গুরুত্ব আরও বেশি অনুভব করছেন। আমাদের শরীরে প্রতিরোধ ক্ষমতা বেশি হলে করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সুবিধা হয়। আর যোগ আমাদের প্রতিরোধ ক্ষমতা এবং মেটাবলিজম বাড়ায়। করোনা মানুষের শ্বাসযন্ত্রে সবথেকে বেশি প্রভাব ফেলে। আর মানুষের শ্বাস-প্রশ্বাস ঠিক করতে সবথেকে কার্যকরী হল প্রাণায়ম। প্রাণায়মের বিভিন্ন ভাগ আছে। নিজেদের দৈনন্দিন কাজে প্রাণায়মকে অবশ্যই যুক্ত করুন। অনুলোম-বিলোমের সঙ্গে অন্যান্য প্রাণায়মও শিখুন।
৮) যা আমাদের একসঙ্গে নিয়ে আসে, মেলবন্ধন করে, সেটাই তো যোগ। যা দূরত্ব ঘুচিয়ে দেয়, সেটাই হল যোগ। করোনাভাইরাসের এই সংকটের মুহূর্তে সারা বিশ্বের মানুষ ‘মাই লাইফ – মাই যোগা’ ভিডিয়ো ব্লগিং প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছেন। তা থেকেই প্রমাণিত যোগের প্রতি উৎসাহ কতটা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
৯) শিশু, প্রাপ্তবয়স্ক, যুবপ্রজন্ম, পরিবারের বয়স্ক – সবাই যোগের মাধ্যমে ঐক্যবদ্ধ হয়ে ওঠেন। পুরো বাড়ির মধ্যে ছটফটে ভাব তৈরি হয়। তাই এবার যোগ দিবস হল আবেগপ্রবণ যোগের দিন। এই দিনটা হল পরিবারিক মেলবন্ধনের দিন।