খবর এইসময়, নিউজ ডেস্কঃ বেশ কিছুদিন হল সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি বার্তা প্রচারিত হয়েছে, যেখানে দাবি করা হচ্ছে যে ইলেকট্রনিক্স ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রকের আওতাধীন ন্যাশনাল ইনফরম্যাটিক্স সেন্টারের তরফে নাকি একটি নির্দেশ জারি হয়েছে, যার দ্বারা গুগল প্লে স্টোর এবং অ্যাপেলের অ্যাপ স্টোর-কে বলা হয়েছে, নির্দিষ্ট কিছু চিনা অ্যাপের ব্যবহার যেন সীমিত করে দেওয়া হয়। কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, এই বার্তাটি ভুয়ো, এবং গুগল অথবা অ্যাপেলকে এমন কোনও নির্দেশ দেওয়া হয় নি।
বার্তাটিতে বলা হয়েছে, ভারত সরকার গুগল এবং অ্যাপেলের আঞ্চলিক কর্তাব্যক্তি এবং প্রতিনিধিদের নির্দেশ দিয়েছে, তাঁদের নিজ নিজ সংস্থা যেন “অবিলম্বে সংশ্লিষ্ট অ্যাপ স্টোরে চিনা অ্যাপের কার্যকারিতা সীমাবদ্ধ করে দেয়”। এই অ্যাপ সমূহের মধ্যে রয়েছে টিকটক, ভিমেট, ভিগো ভিডিও, লাইভমি, বিগো লাইভ, বিউটি প্লাস, ক্যামস্ক্যানার, ক্লাব ফ্যাক্টরি, শাইন, রমউই, এবং অ্যাপলক।
তালিকায় আরও রয়েছে মোবাইল লিজেন্ডস, ক্ল্যাশ অফ কিংস, এবং গেইল অফ সুলতানস-এর মতো গেম। বার্তায় বলা হয়েছে যে সমস্ত অ্যাপ এবং গেম যাঁরা ব্যবহার করছেন, তাঁদের গোপনীয়তা বিপন্ন, এবং তার ফলে দেশের সার্বভৌমত্বও বিপন্ন হতে পারে।
প্রেস ইনফরমেশন ব্যুরো (PIB)-র তথ্য যাচাই শাখা এই দাবি খণ্ডন করে নিশ্চিত করেছে যে এটি একটি ভুয়ো নির্দেশ, এবং এমন কোনও নির্দেশ দেওয়া হয় নি ইলেকট্রনিক্স ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রক অথবা ন্যাশনাল ইনফরম্যাটিক্স সেন্টারের তরফে।
Claim: A viral message of an order allegedly from NIC claims that @GoI_Meity has prohibited some apps from being made available on App Stores. #PIBFactCheck: The Order is #Fake. No such instruction has been given by @GoI_MeitY or NIC. pic.twitter.com/Dt7rMR7nIz
— PIB Fact Check (@PIBFactCheck) June 19, 2020
ভারত-চিন সীমান্তে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় প্রবল উত্তেজনার আবহে এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় চিনা অ্যাপ এবং পণ্য বয়কটের দাবিতে যে ঝড় উঠেছে, সেই প্রেক্ষিতেই ছড়িয়েছে এই ভুয়ো নির্দেশ। এর আগে শিক্ষাবিদ তথা আবিষ্কারক সোনম ওয়াংচুক দেশের মানুষের প্রতি আহ্বান জানান, তাঁরা যেন চিনা পণ্য বয়কট করেন এবং নিজেদের ফোন থেকে চিনা অ্যাপ সরিয়ে ফেলেন। তাঁর দাবি ছিল, নিজেদের অভ্যন্তরীণ গোলযোগের থেকে নজর ফেরাতে ইচ্ছাকৃত ভাবে সীমান্ত বিতর্ক বাঁধাচ্ছে চিন, স্রেফ ভারতেই নয়, অন্যান্য পড়শি দেশের সঙ্গেও।
তথ্য- ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।