দেশের বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ আসনে এখনও প্রার্থী নির্ধারণ বাকি রয়ে গেছে। এর মধ্যে অন্যতম হল আমেঠি ও রায়বেরেলি (Amethi Raebareli)। দুটি আসনই উত্তর প্রদেশে। আসন দুটি একসময় কংগ্রেসের গড় হিসেবে পরিচিত ছিল। বিশেষত, গান্ধী পরিবারের কেউ না কেউ এই আসন দুটি থেকে জিতে লোকসভায় পা রেখেছেন। নির্বাচন চলার মাঝেই এই আলোচনা প্রবল হয়ে উঠেছে, কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী কি আবারও আমেঠি আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন?
২০২৪ লোকসভা নির্বাচনে প্রিয়াঙ্কা গান্ধী রায়বেরেলি থেকে কংগ্রেসের প্রার্থী। অমেঠি ও রায়বেরেলি আসন থেকে কে কংগ্রেস প্রার্থী হবেন সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত আজ সিইসি-র বৈঠকে নেওয়ার কথা ছিল। তবে এ বিষয়ে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। দিল্লিতে কংগ্রেসের সদর দফতরে এই বৈঠক হয়। নাম ঠিক করার দায়িত্ব এখন দলের সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গের উপর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বৈঠকে আমেঠি থেকে রাহুল গান্ধী এবং রায়বেরেলি থেকে প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর নাম প্রস্তাব করা হয়।
বৈঠকে কংগ্রেস সভাপতি সোনিয়া গান্ধী, রাহুল গান্ধী এবং দলের অন্যান্য শীর্ষ নেতারা উপস্থিত ছিলেন। এই বৈঠকে হরিয়ানার ১টি, পঞ্জাবের ৫টি, হিমাচলের ২টি, উত্তরপ্রদেশের ২টি এবং লাদাখের ১টি আসনে প্রার্থীর নাম নিয়ে আলোচনা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। বৈঠকে পঞ্জাব কংগ্রেস সভাপতি অমরিন্দর সিং এবং সিএলপি নেতা প্রতাপ সিং বাজওয়াও উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন এআইসিসি-র সাধারণ সম্পাদক ও উত্তরপ্রদেশের দায়িত্বে থাকা অবিনাশ পাণ্ডে এবং উত্তরপ্রদেশের কংগ্রেস বিধায়ক দলের নেত্রী আরাধনা মিশ্র। ২৮ এপ্রিল কংগ্রেস তাদের নতুন তালিকা প্রকাশ করতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
অমেঠির পরিবর্তে কেরলের ওয়ানাড় থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য রাহুল গান্ধীর সমালোচনা করেছিল বিজেপি। খাড়গেকে এই বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, যাঁরা কংগ্রেস নেতাদের আসন বদলের বিষয়ে প্রশ্ন করেন, তাঁদের বলা উচিত অটলবিহারী বাজপেয়ী ও লালকৃষ্ণ আডবাণী কতবার আসন পরিবর্তন করেছেন।
উত্তরপ্রদেশের আমেঠিকে কংগ্রেস দলের রাজনৈতিক ঘাঁটি হিসাবে বিবেচনা করা হয়। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু, রাজীব গান্ধী এবং তাঁর স্ত্রী সোনিয়া গান্ধীও অতীতে এই আসন থেকে নির্বাচিত হয়েছেন। রাহুল গান্ধী ২০১৪ সালে এই আসন থেকে নির্বাচিত হয়েছিলেন। কিন্তু, গত সাধারণ নির্বাচনে তিনি বিজেপির স্মৃতি ইরানির কাছে হেরে যান। রায়বেরেলির কথা বললে, এটি কংগ্রেসেরও একটি শক্ত ঘাঁটি ছিল। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীও এই নির্বাচনী এলাকা থেকে জিতে এসেছিলেন। সোনিয়া গান্ধী এই আসন থেকে পাঁচবার সাংসদ হয়েছেন।