বাংলাদেশে উত্তেজনার মধ্যেই সীমান্ত পেরিয়ে অবৈধ শরণার্থীর সংখ্যা বাড়তে শুরু করেছে (Fake Passport)। এই পরিস্থিতিতে আগের থেকে অনেক বেশি সক্রিয় হয়ে উঠেছে জাল পাসপোর্ট চক্র (Fake Passport)। পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ জাল পাসপোর্ট চক্রের (Fake Passport) পাণ্ডাদের গ্রেফতার করতে বিশেষ অভিযান চালাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে জাল পাসপোর্ট (Fake Passport) চক্রের একাধিক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। রাজ্যে জাল পাসপোর্ট চক্রের (Fake Passport) অন্যতম মূল পাণ্ডা মনোজ গুপ্তকে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ গ্রেফতার করেছে। শনিবার রাতে তাঁকে উত্তর ২৪ পরগনার গাইঘাটা থানা এলাকার চাঁদপাড়া থেকে গ্রেফতার করেন কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দারা (Fake Passport)। জানা গিয়েছে, মনোজ গুপ্তের একটি ট্রাভেল এজেন্সি রয়েছে (Fake Passport)। তার আড়ালেই মনোজ গুপ্ত জাল পাসপোর্ট (Fake Passport) চক্র চালাতো বলে পুলিশ মনে করছে।
প্রসঙ্গত, জাল পাসপোর্টকাণ্ডের তদন্তে নেমে কলকাতা লাগোয়া দক্ষিণ ২৪ পরগনার বেহালা থেকে দীপঙ্কর দাস নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে। তাঁকে জেরা করেই পুলিশ জানতে পারে, দীপঙ্কর মনোজ গুপ্ত নামের এক ব্যক্তির অধীনে কাজ করতো। মনোজ গুপ্তের বেহালার শখের বাজারে একটি ট্রাভেল এজেন্সির অফিস রয়েছে। সেই অফিসের আড়ালেই অবৈধ বাংলাদেশি শরণার্থীদের মোটা অঙ্কের বিনিময়ে জাল নথি দিত। এরপরেই পুলিশ মনোজ গুপ্তের সন্ধানে তল্লাশি অভিযান শুরু করে। পুলিশ আশঙ্কা করে, মনোজ গুপ্ত দেশ ছেড়ে পালাতে পারে। মনোজ গুপ্ত যাতে দেশ ছেড়ে পালাতে না পারে, তার জন্য পুলিশ একাধিক ব্যবস্থা গ্রহণ করে। মনোজ গুপ্তের দেশ ছেড়ে বাংলাদেশে পালিয়ে যাওয়ার প্রবল সম্ভাবনা ছিল। শনিবার রাতে উত্তর ২৪ পরগনার চাঁদপাড়ায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে মনোজ গুপ্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, বাংলাদেশিদের কাছ থেকে ৫ থেকে ১০ হাজার টাকা নিয়ে প্রথমে তাদের আধার, প্যান কার্ড বানাতেন অভিযুক্ত। এরপরেই অভিযুক্ত বাংলাদেশিদের ভোটার লিস্টে নাম তোলা হতো। তারপর বাংলাদেশীদের ভুয়ো ঠিকানা ব্যবহার করে পাসপোর্টের আবেদন করা হতো। সঙ্গে সঙ্গে আপলোড করা হতো ভুয়ো নথি। পাসপোর্ট ডাকের মাধ্যমে ছাড়া হলে পোস্ট অফিসের কর্মচারীদের সঙ্গে যোগসাজস করে তা হাতিয়ে নিত তারা। বাংলাদেশিদের কাছ থেকে একটি পাসপোর্টের জন্য ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত দাবি করত তারা।