যাদবপুরে প্রতিবাদ সমাবেশের মধ্যেই ঘটে গেল আরেক ঘটনা। মহিলা মনোবিদ কৃষ্ণকলি তিথি বন্দ্যোপাধ্যায়কে শ্লীলতাহানি(Physical Harresment) অভিযোগ উঠল এক মদ্যপ যুবকের বিরুদ্ধে। মহিলার অভিযোগ তিনি এই 8B বাস টার্মিনাসে গানে গানে যখন প্রতিবাদ করছিলেন তখন এই মদ্যপ ব্যক্তি তাঁঁকে স্পর্শ করে। মহিলা তাঁকে ভিড়ের মধ্যে থেকে টেনে বের করে নিয়ে আসে এবং সাধারণ মানুষ তাঁকে ঘিরে মারমুখী হলে তিনি আইন হাতে নিতে বারণ করেন।
কিন্তু পুলিশ পাশে দাঁড়িয়ে থেকে কোনওভাবেই সাহায্যের জন্য ওই যুবককে রক্ষা করার জন্য এগিয়ে আসে না। অনেক দৌড়ঝাপ করার পর যাদবপুর থানার পুলিশ ওই মধ্যম যুবককে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। যাদবপুর থানার সামনে সকলে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে। অভিযোগকারী মহিলা বাইরেই ছিলেন। এরপর আমরা তিলোত্তমার পক্ষ থেকে সোহিনী সরকারস বিদিপ্তা চক্রবর্তীরা সেখানে আসেন। তাঁরা কৃষ্ণকলিকে ভেতরে নিয়ে যান অভিযোগ জানানোর জন্য। কৃষ্ণকলির সঙ্গে যাঁরা ছিলেন তাঁদের অভিযোগ পুলিশের মধ্যেও একজন ওই ভিড়ের মধ্যে মধ্যক অবস্থায় ছিলেন।
গোটা ঘটনায় যাদবপুর থানার বাইরে ধনধুমার কাণ্ড। যাদবপুর থানার দায়িত্বে থাকা একজন এ সি পদমর্যাদার পুলিশের সঙ্গে বাইরের জনতার বাকবিতান্ড বেড়ে যায়। সংবাদমাধ্যমও পুলিশকে প্রশ্ন করে। যাদবপুর থানা ঘেরাও করে আমরা তিলকত্তমা ও এদিনের যাদবপুরে শামিল জনতা স্লোগান দিতে থাকে। ওখানে উপস্থিত তিনজন মহিলা বলছেন যে এটা পুলিশ ইচ্ছে করে করেছে আন্দোলনের অভিমুখ অন্য দিকে ঘুরিয়ে দেওয়ার জন্য।