১০ দিন পর বিয়ে। বিয়ের আগে বন্ধুদের সঙ্গে জগদ্ধাত্রী ঠাকুর দেখতে গিয়েছিলেন (Hoogly)। কিন্তু ঠাকুর দেখে ফিরে আসার পরেই আত্মহত্যা করলেন যুবক। হুগলির (Hoogly) চুঁচুড়ার ধরমপুর কালীতলা এলাকায় মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে। মৃতের নাম প্রদীপ কুমার সন্ন্যাসী (Hoogly)। (Hoogly) ধরমপুরে তাঁর একটি মিষ্টির দোকান রয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার রাতে বন্ধুদের সঙ্গে জগদ্ধাত্রী পুজো দেখতে যান যুবক। রাত আড়াইটা নাগাদ তিনি ফেরেন। পরের দিন ভোরে, অর্থাৎ বৃহস্পতিবার দিন ভোরে মিষ্টির দোকানের বিপরীতে একটি চারচালায় গলায় দড়ি দিয়ে ঝুলতে দেখা যায় যুবককে। স্থানীয়রা দ্রুত পুলিশকে খবর দেয়। চুঁচুড়া থানার পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে ইমামবাড়া হাসপাতালে দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে।
প্রদীপ সন্ন্যাসীর বন্ধুরা এহেন ঘটনায় বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েছেন। মাঝরাত অবধি যার সঙ্গে ঠাকুর দেখলেন তাঁরা, ভোরে তাঁরই আত্মহত্যার খবর যেন বিশ্বাস করতে পারছেন না। প্রদীপের বন্ধুরা বলেন, বুধবার রাত এগারোটার সময় বাইক নিয়ে জগদ্ধাত্রী ঠাকুর দেখতে যান। বন্ধুরা জানাচ্ছেন, প্রদীপ খুব হাসিখুশি ছিল। চিলিচিকেন তন্দুরি রুটিও খেয়েছিলেন। রাত আড়াইটে নাগাদ বাড়ি ফেরেন। ঠাকুরের সামনে বন্ধুদের সঙ্গে ছবিও তোলেন। প্রদীপ ফিরে গিয়ে দোকানে শুয়ে পড়বে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রদীপের বাবা-মা নেই। তাঁর দুই দাদা ও তাঁদের পরিবার রয়েছে। চুঁচুড়ার স্থানীয় এক আশ্রম কন্যার সঙ্গে তাঁর বিয়ে ঠিক হয়েছিল। বিয়ের মাত্র ১০ দিন বাকি ছিল। ইতিমধ্যে বিয়ের সমস্ত প্রস্তুতি সারা হয়ে গিয়েছে। কার্ড ছাপানো শেষ। নিমন্ত্রণও প্রায় শেষের দিকে। বিয়ে উপলক্ষে কেনাকাটাও হয়ে গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে প্রদীপ কেন আত্মহত্যা করল, বুঝতে পারছে না কেউ। পরিবারে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। যেখানে ১০ দিন পর বিয়ের সানাই বাজার কথা ছিল, সেখানে এখন শুধু প্রিয়জন হারানোর হাহাকার।