আবার অসুস্থ হয়ে পড়লেন টালা থানার ওসি (Abhijit Mondal)। তাঁকে (Abhijit Mondal) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বুধবার তাঁকে (Abhijit Mondal) শিয়ালদহ আদালতে তোলা হয়। সন্দীপ ঘোষ ও টালা থানার ওসিকে জেল হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তাঁকে প্রেসিডেন্সি জেল হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে তাঁকে(Abhijit Mondal) । চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তাঁর (Abhijit Mondal) উচ্চ রক্তচাপ জনিত সমস্যা রয়েছে। সেই কারণেই চিকিৎসাধীন প্রেসিডেন্সি জেল হাসপাতালে ভর্তি আর জি কর কাণ্ডে গ্রেফতার হওয়া টালা থানার প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ মণ্ডল (Abhijit Mondal) ।
বুধবারই প্রেসিডেন্সি জেলে যান অভিজিৎ মণ্ডল। সেখানে যাওয়ার পরেই অসুস্থ বোধ করেন। জেল কর্তৃপক্ষের তরফে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বুধবার শিয়ালদহ আদালতে তোলা হয় অভিজিৎ মণ্ডলকে। সেখানে তাঁকে হোঁচট খেতে দেখা যায়। যদিও পুলিশকর্মীরা তাঁকে ধরে ফেলেন। এরপর থেকেই তিনি অসুস্থ বোধ করেন বলে জানা যায়।
আরজি কর কাণ্ডে তথ্য বিকৃতি ও কর্তব্যে গাফিলতির জন্য সিবিআই টালা থানার অপসারিত ওসি অভিজিৎ মণ্ডলকে (Abhijit Mondal) গ্রেফতার করে। অভিজিৎ মণ্ডলের বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়ার পরও দেরিতে পৌঁছানো, ক্রাইম সিন ঠিক মতো রক্ষণাবেক্ষণ না করা-সহ একাধিক অভিযোগ রয়েছে। বুধবার শিয়ালদহ আদালতে সন্দীপ ঘোষের সঙ্গেই পেশ করা হয় অভিজিৎ মণ্ডলকে। আদালত ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দুজনকে জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।
বুধবায় শিয়ালদহ আদালতে বিস্ফোরক দাবি করে সিবিআই। আদালতে সিবিআই যে রিমান্ড জমা দিয়েছে সেখানে পরিষ্কার করে বলা হয়, হেফাজতে থাকাকালীন সন্দীপ ঘোষ ও অভিজিৎ মণ্ডলকে জেরা করে তাঁরা নতুন তথ্য পেয়েছেন। সেই বয়ান অনুযায়ী টালা থানার মধ্যেই মিথ্যা রেকর্ড তৈরি করা হয়েছে বা রিপোর্ট বদল করা হয়েছে। টালা থানার ফুটেজের সিএইএসএলের রিপোর্ট আসা বাকি আছে। সেই রিপোর্ট এলে তাঁরা ফের এই দুই জনকে হেফাজতে নিয়ে জেরা করতে চান তদন্তকারী আধিকারিকরা বলে সিবিআই আধিকারিকরা।
এছাড়াও সিবিআইয়ের তরফে বেশ কিছু সন্দেহভাজন নম্বরের কথা বলা হয়েছে। সেই বিষয়ে সিবিআইয়ের তরফে জানানো হয়েছে, এই দুই ব্যক্তির মোবাইল ফোনের সম্পূর্ণ তথ্য তারা পেতে চায়। বেশ কিছু নম্বরে অভিযুক্ত দুই ব্যক্তির কথা হয়েছে। আদালতে এদিন সিবিআইয়ের আইনজীবী বলেন, সিবিআইয়ের হাতে কোনও জাদুকাঠি নেই। সিবিআই তথ্য প্রমাণ সংগ্রহের কাজ করছে।