একদিকে বিজেপির ডাকা ১২ ঘণ্টার ধর্মঘট, অন্যদিকে ‘গেরুয়া’ বাধা উপেক্ষা করে কলকাতার মেয়ো রোডে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসের মেগা অনুষ্ঠান। রাজনৈতিক বিরতি থেকে ফিরে সেই মঞ্চে ভাষণ দিলেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। আর বক্তব্যের শুরুতেই তাঁর সাফ অভিযোগ, একটা স্পর্শকাতর, দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা নিয়ে লাশের রাজনীতি করছে বিরোধীরা। আবারও ধর্ষণের মতো অপরাধ রুখতে কেন্দ্রকে কড়া আইন আনার কথা বললেন তিনি। মোদি সরকারের প্রতি চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে তিনি বললেন, ”আগামী ৩, ৪ মাসের মধ্যে কেন্দ্র কড়া আইন প্রণয়ন না করলে দিল্লিতে আমরা বৃহত্তর আন্দোলন করব। প্রয়োজনে সাংসদ হিসেবে আমার নিজের অধিকার বলে আলাদা করে বিল (প্রাইভেট মেম্বার বিল) আনব।” পাশাপাশি, বিজেপির বন্ধকে তোপ দেগে অভিষেকের চ্যালেঞ্জ, ”আপনারা পারলে প্রতি ২৮ আগস্ট বন্ধ ডাকুন। কী করে প্রতিহত করতে হয়, দেখিয়ে দেব।”
নারী নির্যাতনের একেকটি ঘটনা তুলে ধরে কেন্দ্রকে লাগাতার আক্রমণের মাঝেই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। মোদি সরকারকে কড়া চ্যালেঞ্জের সুরে তৃণমূল সাংসদ জানালেন, ”আগামী ৩-৪ মাসের মধ্যে কেন্দ্র যদি এই আইন না আনে, তাহলে বৃহত্তর আন্দোলনে তৃণমূল রাস্তায় নামবে। আমরা কেন্দ্রকে চিঠি লিখব। আমাদের চাই ধর্ষণ বিরোধী আইন। কেন্দ্র যদি না আনে তাহলে আমি নিজে প্রাইভেট মেম্বার বিল এনে এই আইন মুভ করা। সাংসদের সেই অধিকার আছে।
মঙ্গলের নবান্ন অভিযান প্রসঙ্গে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক বলেন, “গতকাল যাঁরা রাস্তায় নেমেছিলেন, কোনও ভদ্রলোককে আপনি দেখতে পাবেন না। আমরা দেখেছি, কেউ বলছেন বিএসসিতে সায়েন্স নিয়ে কমার্স পড়ছেন। কারও ২৩ বছর বয়স, বলছে স্কুলে পড়ে কিন্তু স্কুলের নাম বলতে পারছেন না। এই হল বিজেপির প্রকৃত চেহারা।” ১৪ অগস্ট মেয়েদের ‘রাত দখল’ কর্মসূচিকে সমর্থন অভিষেকের। তিনি বলেন, “আমরা সেই লড়াইকে সম্মান জানাই। যাঁরা রাস্তায় নেমেছিলেন বা রাস্তায় বসে প্রতিবাদ করেছিলেন, তাঁদের একটাই দাবি ছিল। ধর্ষণমুক্ত সমাজ গড়ে তোলা এবং বিচার ব্যবস্থা দ্রুত সম্পন্ন করে দোষীদের শাস্তির ব্যবস্থা করা।”