দিল্লির কংগ্রেস নেতৃত্বের আচরণে ক্ষুব্ধ অধীর রঞ্জন চৌধুরী(Adir Ranjan Chowdhury)। দিল্লির বৈঠকে অধীরকে ‘প্রাক্তন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি’ বলে সম্বোধন। তাতেই রেগে লাল অধীর। রাজ্যের এআইসিসি পর্যবেক্ষক গোলাম মীরের উপর বেজায় চটেছেন তিনি। কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গের উপরেও ক্ষুদ্ধ অধীর। সাফ বলছেন, “এখন বাংলায় দু’জন এআইসির নেতা, গোলাম মীর আর সিং সাহেব বলে একজন। এরাই এখন রাজ্যর মাথা হয়েছে। এরা রাজ্যের কিছু বিশেষ বিশেষ লোককে চেনে। সব লোককে চেনে বলে আমার জানা নেই। কাল আলোচনা শুরু হওয়ার আগে যখন নিজেদের মধ্যে কথা হচ্ছে। তখনও ভেনুগোপাল আসেনি। তখন গোলাম মীর হঠাৎ করে বলছে, ফর্মার কংগ্রেস প্রেসিডেন্ট।”
প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির পদ থেকে সরছেন অধীর! এই জল্পনা লোকসভা ভোটের পর থেকেই তীব্র হয়েছিল। অধীর এখন যদিও নিজেই বলছেন, “আমি তো রেজিগনেশন দিয়েছি খাড়গে সাহেবকে। গ্রহণ করবে কি করবে না, সে তো খাড়গে সাহেবের বিষয়। কী সিদ্ধান্ত নিল আমাকে একটা আভাস দেওয়া দরকার। সেটা তো কার্টেসির মধ্যে পড়ে।” এরপরই খানিক অভিমানের সুরে বললেন, “কালকে সাহেব আমায় বলেছিল দিল্লি এস আলোচনা করব। আমি সেইজন্য অপেক্ষা করে বসে আছি। কিন্তু, গতকাল হঠাৎ এই কথা শুনে বুঝলাম আমাকে বাদ দেওয়াই হয়েছে না হলে ফর্মার বানিয়ে দেবে কী করে!”
প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই প্রকাশ্যেই মল্লিকার্জুন খাড়গে বলেছিলেন, “অধীর চৌধুরী কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার কেউ নয়, সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য কংগ্রেস দল আছে, হাইকমান্ড আছে। আমরা যা সিদ্ধান্ত নেব, সেটাই হবে।” যদিও এখন অধীর বলছেন, “আমাকে পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়াই করে ভোট করতে হয় । সেক্ষেত্রে যদি পার্টির সর্বভারতীয় সভাপতির খারাপ লাগে, সে যদি বলে আমাকে পার্টির বাইরে চলে যেতে পারে। তখন তার একজন কর্মী হিসেবে, সহযোগী হিসেবে খারাপ তো লাগার কথা। খারাপ আমার লেগেছিল। তারপর আমি হেরেছি। খারাপ লাগা থেকে বলেছিলাম