সৌভিক সরকার,বারাকপুরঃ বারাসাতে করোনা প্রতিরোধে পুলিশি গান্ধীগিরি তথাপি উঠছে নাগরিক সুরক্ষা সংক্রান্ত প্রশ্ন। নাগরিক সুরক্ষায় প্রশাসনিক ত্রুটির কথা মানতে নারাজ বারাসাত জেলা পুলিশের শীর্ষআধিকারিক পুলিশ সুপার অভিজিৎ বন্দোপাধ্যায়।
মাস্ক পরিধানে বারাসাতে পুলিশের গান্ধীগিরির দিন পুলিশের তৎপরতা আচমকা শুক্রবার দিনই লক্ষ্য করা যাচ্ছে,সম্প্রতি কিছু দিন করোনা মোকাবিলা অভিযানে পুলিশকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না – নাগরিকদের এমন অভিযোগকে নস্যাৎ করল জেলা পুলিশ। বারাসাতে করোনা প্রতিরোধে পুলিশ নিষ্ক্রিয় একথা মানতে নারাজ বারাসাতের পুলিশ সুপার অভিজিৎ বন্দোপাধ্যায়। তাঁর বক্তব্য, পুলিশি নজরদারী লাগাতার চলছেই। করোনা প্রতিরোধে সুরক্ষার দিক গুলিকে মানুষকে মেনে চলার জন্য সার্বিকভাবে উদ্যোগী করতে সচেতনতা কর্মসূচি পুলিশ জারী রেখেছে।
বারাসাত পৌরসভা এলাকায় আক্রান্তের সংখ্যা আতঙ্কের শীর্ষচূড়ায় পৌঁছনোর সাথে সাথে আবার কোমর বেঁধে নাগরিক সুরক্ষা সচেতনতায় নামল পুলিশ। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বারাসাত থানার শীর্ষ আধিকারিক জানিয়েছেন বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুক্রবার সকালের মধ্যে বারাসাত পৌরসভা এলাকায় চুয়াল্লিশ জনের করোনা পজিটিভ রিপোর্ট এসে পৌঁছেছে।কলোনী মোড় সহ বারাসাতের প্রাণকেন্দ্রে বারাসাত থানার পুলিশ ও ৱ্যাফ সচেতনতার অঙ্গ হিসেবে করোনা প্রতিরোধক পদক্ষেপগুলির নজরদারি করে। যাতায়াতকারী মানুষ মাস্ক পরছে কিনা দেখে ব্যবস্থা নেয় পুলিশ।
মাস্ক না থাকলে কার্যত গান্ধীগিরির আদলে মাস্ক পরিয়ে পুলিশ মানুষকে সচেতন করে পুলিশ। খোদ বারাসাত থানার আই সি দীপঙ্কর ভট্টাচাৰ্যর নেতৃত্বে পুলিশ মাস্ক না থাকা বিভিন্ন যানবাহনে থাকা ড্রাইভার, আরোহী সহ পদাতিক মানুষজনকে মাস্ক পরতে বাধ্য করেন। সাধারণ মানুষ পুলিশি পদক্ষেপে খুশী, তাঁরা বলছেন মানুষের সচেতনতা মানুষের মধ্যে স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে আসা উচিত। কিন্তু নাগরিকরা পাশাপাশি প্রশ্ন তুলছেন প্রশাসনের সার্বিক নজরদারিতে গলদ নিয়ে। সামাজিক দূরত্ববিধি মানা হচ্ছে না জানিয়ে তাঁদের প্রশ্ন হঠাৎ করে একদিনের জন্য পুলিশি তৎপরতা নাগরিক সুরক্ষাকে সুনিশ্চিত করে না। বারাসাত পৌরসভার প্রশাসনিক বোর্ডের শীর্ষ আধিকারিক সুনীল মুখার্জী যেখানে আক্রান্ত সেখানে প্রশাসনের তৎপরতা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যায় বলে নাগরিক অভিমত। নাগরিকদের আরও অভিমত, নিজেদেরকে সবাই স্বতঃস্ফুর্তভাবে সচেতন না করলে বিপদ বাড়তেই থাকবে।।