Adyapith: আদ্যাপীঠে মহাসমারোহে কুমারী পূজা, দুই হাজার কুমারীর আরাধনায় মুখরিত মন্দির প্রাঙ্গণ

বিশ্বের দরবারে এক পবিত্র তীর্থস্থান হিসেবে পরিচিত আদ্যাপীঠে (Adyapith) মহাসমারোহে পালিত হলো কুমারী পূজা। শ্রীরামকৃষ্ণদেবের রূপক ও পরিচালনায় প্রতিষ্ঠিত এই মহাপীঠে, প্রাণপুরুষ শ্রীমৎ অন্নদাঠাকুরের স্মৃতিতে প্রতি বছরের ন্যায় এবারও বাসন্তী পুজোর পুণ্য লগ্নে আয়োজিত হলো কুমারী পূজা।

১৩২৭ বঙ্গাব্দে বাসন্তী রামনবমীর শুভ তিথিতে অন্নদাঠাকুর ২৮ জন কুমারীকে আদ্যামা রূপে পূজা করে এই প্রথার সূচনা করেছিলেন। সেই ঐতিহ্য মেনে, আদ্যাপীঠে এবারও দুই হাজার কুমারীকে মাতৃজ্ঞানে পূজা করা হলো।

রবিবার সকাল থেকেই মন্দির প্রাঙ্গণ ভক্তদের ভিড়ে মুখরিত হয়ে ওঠে। দূরদূরান্ত থেকে আসা ভক্তরা এই বিশেষ পুজোর সাক্ষী থাকতে সমবেত হন। কুমারী পূজার বিশেষ উপাচারের মধ্যে ছিল ফুল, ফল, মিষ্টি ও চকোলেট দিয়ে কুমারীদের আরাধনা।

পূজায় অংশ নেওয়া উত্তর ২৪ পরগনার সোদপুরের প্রথম শ্রেণীর ছাত্রী সঞ্চিতা সরকার তার অনুভূতি প্রকাশ করে জানায়, “এই প্রথম কুমারী সেজে মন্দিরে এসেছি। খুব ভালো লাগছে।” হুগলির উত্তরপাড়া থেকে আসা শর্মিলা রায় বলেন, “প্রতি বছরের মতো এবারও মেয়েকে কুমারী সাজিয়ে মন্দিরে এসেছি। মন্দিরে নারী শক্তিকে যেভাবে সম্মানিত করা হয়, তা সত্যিই প্রশংসনীয়।”

রামনবমীর বিশেষ বার্তায় দক্ষিণেশ্বর রামকৃষ্ণ সংঘ আদ্যাপীঠের সাধারণ সম্পাদক ব্রহ্মচারী মুরাল ভাই বলেন, “ধর্ম মানুষকে বিভেদ শেখায় না। অন্নদাঠাকুর ১৯১৫ সালে এই মন্দির প্রতিষ্ঠা করেছিলেন এবং মন্দিরের চূড়ায় সকল ধর্মের প্রতীক স্থাপন করেছিলেন। ধর্মপ্রাণ মানুষ কখনো বিভেদ সৃষ্টি করতে পারে না।”

উৎসবকে কেন্দ্র করে মন্দির চত্বরে কঠোর পুলিশি নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। সকাল থেকেই দূরদূরান্ত থেকে আসা ভক্তদের ঢল নামে মন্দির প্রাঙ্গণে।