ন্যাশনাল ডেস্ক: গত ১৮ মে শ্রদ্ধা ওয়াকারের খুনের পর প্রায় ১০ ঘণ্টা ধরে ধড় থেকে মাথা ৩৫ টুকরো করে নতুন কেনা ফ্রিজে সাজিয়ে রেখেছিল তাঁরই প্রেমিক আফতাব আমিন পুনাওয়ালা (Aftab Ameen Poonawala)।
ধারালো কোনও অস্ত্র দিয়ে কেটে ফেলা দেহের সমস্ত অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের বেশকিছু টুকরো খুঁজে পেলেও এখনও শ্রদ্ধার মাথা এবং দেহের আরও কিছু অংশ পায়নি পুলিশ। এদিন আদালতে সেটাই জানায় পুলিশ।
পুলিশি জেরার মুখে খুন ও পরে তা টুকরো টুকরো করে বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে দেওয়ার কথা স্বীকার করে আফতাব। কিন্তু আফতাব কোথায় শ্রদ্ধার কাটা মুন্ডু ফেলেছে তা নিয়ে এখনও ধোঁয়াশা রয়েছে পুলিশের মধ্যে। সবকিছু মিলিয়ে আফতাব পুনাওয়ালা যে নৃশংসভাবে প্রেমিকা শ্রদ্ধা ওয়ালকরকে খুন করে, তা জেনে শিহরিত গোটা দেশ। কিন্তু আজ আরও নৃশংসতা কিংবা বলা ভালো নারকীয়তার কাহিনী শুনে শিউরে উঠবে দেশের মানুষ।
পুলিশের কাছে আফতাব জানিয়েছে, শ্রদ্ধার মুন্ডু পুড়িয়ে দিয়েছিল সে! কিন্তু কেন?
আফতাব তার স্বীকারোক্তিতে জানিয়েছে, মুন্ডু পোড়ানো হয়েছে শ্রদ্ধার পরিচিতি গোপন করতেই।বাড়ির লোক, বন্ধুবান্ধব এমনকি পুলিশও যাতে শ্রদ্ধাকে চিনতে না পারেন, তার জন্যই নৃশংসতার চরম সীমা পার করে দেয় আফতাব আমিন পুনাওয়ালা (Aftab Amin Poonawala)। এই একই কারণেই দেহের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ আলাদা করে ফেলে আফতাব। এদিন জেরার সময় আফতাব আরও দাবি করে, যে খুনের পর কীভাবে মৃতের দেহ অন্যদের অগোচরে রাখতে হয়, তা ইন্টারনেট সার্চ করেই জেনেছে।
পুলিশ এদিন এই খুন সম্পর্কিত অনেক তথ্য আদালতে পেশ করেছে। সেখানেই ছিল আফতাবের স্বীকারোক্তি। সেখানেই উঠে এসেছে এমন নানান তথ্য। এদিকে গোটা শহরজুড়ে শ্রদ্ধার কাটা মুন্ডুর সন্ধান চালাচ্ছে পুলিশ।
সংবাদমাধ্যম সূত্রের খবর, গত মে মাসে দিল্লির রামলীলা ময়দানের কাছে একটি কাটা মুন্ডু মিলেছিল। সেই সময় এই মুন্ডু যে কার তা শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। পুলিশের সন্দেহ, যেহেতু এই মুন্ডু উদ্ধারের দিন কয়েক বাদেই খুন হন শ্রদ্ধা তাই এই মুন্ডু তাঁর হলেও হতে পারে। যদিও ফরেন্সিক রিপোর্ট না পাওয়া পর্যন্ত স্পষ্ট করে কিছু বলা যাবে না।