খবর এইসময় ডেস্ক: রাজ্যে নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে গ্রেফতার করা হল সুজয় কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে ‘কালীঘাটের কাকু’কে।
ইডি সূত্রে খবর, দীর্ঘক্ষণ জিজ্ঞাসাবাদের পর আজ তার বয়ান রেকর্ড করা হয়। তার বয়ান রেকর্ড করে দিল্লিতে পাঠানো হয়েছিল। সুজয় কৃষ্ণ ভদ্রের বাড়িতে তল্লাশি অভিযান চালিয়ে যে নথি উদ্ধার হয়েছিল তার পরিপ্রেক্ষিতে তাকে একাধিক প্রশ্ন করা হলে তার উত্তরে সুজয় কৃষ্ণ ভদ্র যে বয়ান দিয়েছে সেই বয়ানে অসঙ্গতি রয়েছে বলে মনে করছে ইডি। তার বয়ানে সন্তুষ্ট নন ই ডি। তাই ইডি মনে করছে তাকে আরো জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজন রয়েছে। সেই কারণেই দিল্লির উচ্চকর্তাদের নির্দেশে গ্রেফতার করা হয় কালীঘাটের কাকু ওরফে অভিষেকের অফিস কর্মী সুজয় কৃষ্ণ ভদ্র কে।
‘কাকু’র সঙ্গে সংযোগ রয়েছে এমন ৩টি সংস্থাতেও তল্লাশি চালিয়েছিল ইডি। সেই সংস্থার মাধ্যমে কালো টাকা সাদা করা হয়েছে কি না, তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ওই ৩টি সংস্থার মধ্যে একটি সংস্থা বিশেষ করে নজরে রয়েছে তদন্তকারীদের। সেই সংস্থা ‘কালীঘাটের কাকু’ নিয়ন্ত্রণ করতেন বলে তদন্তকারীদের ধারণা। ওই সংস্থাগুলির ডিরেক্টর এবং অ্যাকাউন্টট্যান্টদের তলব করা হয় আগেই। এর পরেই মঙ্গলবার তলব করা হয় সুজয়কে।
বিষয়টি নিয়ে টুইট করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর দাবি, আইনের লম্বা হাত আরও গভীরে পৌঁছবে। কেউ পার পাবেন না। ‘কালীঘাটের কাকু’ গ্রেফতার হওয়ার পর টুইট করেছেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষও। তিনি লিখেছেন, বায়রন @AITCofficial এ যোগ দেওয়াতে কংগ্রেস, সিপিএম, বিজেপি জোট ধাক্কা খেয়েছিল। সেই রাগে এবং নিজেদের ব্যর্থতা থেকে নজর ঘোরাতে দিনভর নাটকের পর রাতের উপসংহার নয় তো? তিন দলের উল্লাস দেখে সেটাই তো মনে হচ্ছে।
উল্লেখ্য, চলতি মাসের কুড়ি তারিখ বেহালার ফকির পাড়া রোডের বাড়িতে হানা দিয়েছিলো ইডি। বেশ কিছু নথি উদ্ধারের পাশাপাশি সুজয় কৃষ্ণ ভদ্রের মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল। মোবাইল ফোন থেকে একাধিক তথ্য উঠে আসে। বেরিয়ে আসে একাধিক কল রেকর্ড। সেই কারণে জিজ্ঞাসা বাদের জন্য মঙ্গলবার তাকে ডেকে পাঠানো হয়েছিল ইডি দপ্তরে।
বুধবার দুপুর বারোটার সময় সিজিও কমপ্লেক্স থেকে বার করা হয় সুজয় কৃষ্ণ ভদ্রকে। আদালতে পাঠানোর আগে তার মেডিকেল পরীক্ষার জন্য তাকে নিয়ে যাওয়া হয় জোকা হাসপাতালে।