সমাজবাদী পার্টির জাতীয় সভাপতি এবং কনৌজের সাংসদ অখিলেশ যাদব (Akhilesh Yadav) আজ লোকসভায় বক্তব্য রাখেন। এই সময় তিনি বিজেপিকে তীব্র আক্রমণ করেন। তিনি বলেন, ২০২৪ সালের ৪ঠা জুন ছিল দেশের সাম্প্রদায়িক রাজনীতি থেকে মুক্তির দিন। একইসঙ্গে তিনি নিজের রাজ্যের অর্থাৎ উত্তর প্রদেশের যোগী সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন তিনি।
#WATCH | On EVMs, Samajwadi Party MP Akhilesh Yadav says,"…EVM pe mujhe kal bhi bharosa nahi tha, aaj bhi nahi hai bharosa, mein 80/80 seats jeet jaun tab bhi nahi bharosa…The issue of EVM has not died" pic.twitter.com/UJIS6hBGQt
— ANI (@ANI) July 2, 2024
বিজেপিকে আক্রমণ করে তিনি বলেন, “নির্বাচনের সময় বলা হয়েছিল যে ৪০০ পাড়, আমি আরও একবার বুদ্ধিমান জনগণকে ধন্যবাদ জানাব। একটি কবিতা পাঠ করে অখিলেশ বলেন, “আমি বলতে চাই যে ‘আওয়াম নে তোড় দিয়া হুকুমতো কা গুরুর…(অর্থাৎ জনতা শাসকের অহংকার ভেঙে দিয়েছে)।”
উত্তরপ্রদেশের বিজেপি সরকার সম্পর্কে তিনি বলেন, “প্রধানমন্ত্রী যেখান থেকে নির্বাচিত হয়ে আসেন, সেই প্রদেশের রাজ্য সরকারও এক ট্রিলিয়ন অর্থনীতির কথা বলছে। উত্তরপ্রদেশে যদি এটা সম্ভব হয়, তাহলে ৩৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি প্রয়োজন। আমার মনে হয় না এটা সম্ভব। ক্ষুধা সূচকে আমরা কোথায় দাঁড়িয়ে আছি? সুখের সূচকে আমরা কোথায় দাঁড়িয়ে আছি?”
#WATCH | Delhi: Speaking on Ayodhya Election result, Samajwadi Party MP Akhilesh Yadav says, "… The victory of Ayodhya is the democratic victory of the mature voter of India…" pic.twitter.com/zJwGswmZqo
— ANI (@ANI) July 2, 2024
বিজেপিকে নিশানা করে তিনি বলেন, ‘প্রথমবার এমন মনে হচ্ছে যে, একটি পরাজিত সরকার বিরাজমান হয়েছে। মানুষ বলছে, সরকার চলবে না। এটি পড়ে যাওয়ার মতো সরকার’। বিজেপিকে কটাক্ষ করে অখিলেশ যাদব বলেন, ‘উপরের দিকে জুড়ে থাকা কোনও তার নেই, নীচে কোনও ভিত্তি নেই। এ তো কোনও সরকার হল না।’
প্রশ্নপত্র ফাঁসের বিষয়ে মোদী সরকারকে আক্রমণ করে অখিলেশ যাদব বলেন, “একটি বড় পরীক্ষার (এনইইটি) প্রশ্নপত্রও ফাঁস হয়েছে। কেন ফাঁস হচ্ছে? এই সরকার প্রশ্ন ফাঁস করছে কারণ তারা কর্মসংস্থান দিতে চায় না। গত দশ বছরের সাফল্য হল একটি শিক্ষা মাফিয়ার জন্ম হয়েছে। আগামী হাজার বছরের স্বপ্নদর্শীরা কখন আগামী মাসে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া পরীক্ষার বিশুদ্ধতার নিশ্চয়তা দেবেন? মানুষের জেগে ওঠার সময় এসেছে। নতুন রাজনীতির জাগরণের সময়ের অনেক প্রতিনিধি এখানে বসে আছেন।”