উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা সমাজবাদী পার্টির নেতা অখিলেশ যাদব (Akhilesh Yadav) এবার নিশানা করলেন ভারতীয় জনতা পার্টিকে। তিনি অভিযোগ করেছেন যে বহিরাগতরা এসে অযোধ্যায় বড় আকারে জমি কিনেছে এবং মুনাফা অর্জনের জন্য এই সমস্ত কিছু করা হয়েছে। এতে স্থানীয়দের কোনও লাভ হয়নি। এবার ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি অযোধ্যা আসনটি খুইয়েছে এবং সমাজবাদী পার্টি জিতেছে, যার পর থেকে অখিলেশ যাদব ক্রমাগত অযোধ্যার দিকে মনোনিবেশ করে চলেছেন।
বুধবার ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের একটি প্রতিবেদন এক্স হ্যান্ডেলে শেয়ার করে অখিলেশ যাদব (Akhilesh Yadav) লেখেন, “যেভাবে অযোধ্যার জমি চুক্তি ফাঁস হচ্ছে, তাতে সত্য সামনে আসছে যে অযোধ্যার বাইরের লোকেরা বিজেপি শাসনের অধীনে মুনাফা অর্জনের জন্য বড় আকারে জমি কিনেছে এবং বিক্রি করেছে। বিজেপি সরকার গত ৭ বছর ধরে বৃত্তের হার না বাড়ানো স্থানীয় মানুষের বিরুদ্ধে একটি অর্থনৈতিক ষড়যন্ত্র। এর ফলে কোটি কোটি টাকার জমি কেলেঙ্কারি হয়েছে। এখানে মুমিনরা জমি কেনেনি, জমি মাফিয়ারা কিনেছে।”
जैसे-जैसे अयोध्या की ज़मीन के सौदों का भंडाफोड़ हो रहा है, उससे ये सच सामने आ रहा है कि भाजपा राज में अयोध्या के बाहर के लोगों ने मुनाफ़ा कमाने के लिए बड़े स्तर पर ज़मीन की ख़रीद-फ़रोख़्त की है। भाजपा सरकार द्वारा पिछले 7 सालों से सर्किल रेट न बढ़ाना, स्थानीय लोगों के ख़िलाफ़ एक… pic.twitter.com/zzXKpdc40A
— Akhilesh Yadav (@yadavakhilesh) July 10, 2024
অখিলেশ (Akhilesh Yadav) আরও বলেন, “এই সবকিছুর মধ্যে অযোধ্যা-ফৈজাবাদ এবং আশেপাশের এলাকায় বসবাসকারীরা এর থেকে কোনও সুবিধা পাননি। দরিদ্র ও কৃষকদের কাছ থেকে কম দামে জমি নেওয়া এক ধরনের জমি দখল। আমরা অযোধ্যায় তথাকথিত উন্নয়নের নামে কারচুপি ও জমি লেনদেনের পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত ও পর্যালোচনার দাবি জানাচ্ছি।”
প্রকৃতপক্ষে, রাম মন্দিরের কারণে ব্যাপক সরকারি-বেসরকারি উন্নয়ন প্যাকেজ জমিটিকে প্রধান রিয়েল এস্টেটে পরিণত করেছে। অযোধ্যায় জমির দাম দ্রুত বাড়ছে। ২০১৯ সালের নভেম্বরে সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্তের পরেই রাম মন্দির নির্মাণের পথ পরিষ্কার হয়েছিল। সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্ত থেকে ২০২৪ সালের মার্চ পর্যন্ত জমির রেজিস্ট্রি যাচাই-বাছাই করা হয়েছে। এর ফল হল যে, অযোধ্যা এবং সংলগ্ন গোন্ডা ও বস্তি জেলার কমপক্ষে ২৫ টি গ্রামে জমির লেনদেনের সংখ্যা ৩০ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে। এই জমিগুলি মন্দিরের ১৫ কিলোমিটার ব্যাসার্ধের মধ্যে পড়ে। এর মধ্যে অনেক জমি চুক্তি নেতাদের পরিবারের সদস্য বা তাদের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরা করেছেন। শুধু তাই নয়, সরকারি আধিকারিকরাও জমি লেনদেনের সঙ্গে যুক্ত।