১০ দফা দাবি নিয়ে জুনিয়র চিকিৎসকরা অনশন (Hunger Strike) করছেন। ইতিমধ্যে অনশনের পাঁচ দিন পার হয়ে গেছে। অষ্টমীর দিন বিকালে ধর্মতলার অনশন (Hunger Strike) মঞ্চে আসছেন আরভি অশোকন। বিকেলে ক্রিক রো-র IMA-র অফিসে সাংবাদিক বৈঠক (Hunger Strike) করবেন তিনি। অন্যদিকে, অনশনরত (Hunger Strike) জুনিয়র ডাক্তারদের স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বিগ্ন সিনিয়র চিকিৎসকরা। বৃহস্পতিবার রাতে অনশনরত জুনিয়র চিকিৎসক অনিকেত মাহাতোর শারীরিক অবস্থার দ্রুত অবনতি হয়। তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে জুনিয়র চিকিৎসক অনিকেত মাহাতোর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল।
বৃহস্পতিবার জুনিয়র চিকিৎসকদের সঙ্গে একই অনশন মঞ্চে সিনিয়র চিকিৎসকরা প্রতীকি অনশন করেন। অন্যদিকে, বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই অনশনরত জুনিয়র চিকিৎসক অনিকেত মাহাতোর শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে। আরজি করের চিকিৎসক সৈকত নিয়োগী সপ্তমীর সকালে জুনিয়র চিকিৎসকদের পরীক্ষা করে জানিয়েছেন। তিনি পরীক্ষা করে বলেন, অনিকেতের অবস্থা বিপজ্জনক। চিকিৎসক জানিয়েছেন, অনিকেতের দেহে কিটোন বডির উপস্থিতি মিলতে শুরু করেছে। কিটোন বডির পরিমাণ ৩+। কিটোন বডি বাড়তে থাকলে কিটো অ্যাসিডোসিস হয়ে কোমায় যেতে পারে রোগী। ধীরে ধীরে অঙ্গ প্রত্যঙ্গ বিকল হওয়ারও সম্ভাবনা থাকে। এছাড়াও এই অনশনের প্রভাব অনিকেতের লিভারের ওপর পড়তে শুরু করেছে। কিন্তু নিজের শারীরিক অবস্থার অবনতির কথা জানার পরেও অনিকেত মাহাতো নিজের অবস্থানে অনড় ছিলেন। অন্যদিকে আরও দুই চিকিৎসকের শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়েছে শুক্রবার বলে জানা গিয়েছে।
জুনিয়র চিকিৎসকদের পাশে দাঁড়িয়ে সারা রাজ্য জুড়ে প্রায় দুই শতাধিক সিনিয়র চিকিৎসক বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল থেকে ইস্তফা দিয়েছেন। প্রয়োজনে তাঁরা ব্যক্তিগত ইস্তফা দিতে পারেন বলে জানিয়েছেন। অন্যদিকে, জুনিয়র চিকিৎসকদের সমর্থন জানিয়ে বেসরকারি হাসপাতালগুলো রাজ্য সরকারকে কড়া বার্তা পাঠিয়েছে। সোমবার থেকে একাধিক বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকরা কর্ম বিরতিতে যাবেন বলে জানিয়েছে। একাধিক চিকিৎসক সংগঠন ইতিমধ্যে রাজ্যকে কঠোর বার্তা দিয়েছে।