নিজস্ব প্রতিনিধি, মেদিনীপুরঃ তৃণমূলের নির্বাচিত সদস্যাকে দীর্ঘ দিন ধরে অত্যাচারের অভিযোগ উঠল তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে। পঞ্চায়েত সদস্যার অনিচ্ছা সত্ত্বেও গর্ভের সন্তানকে নষ্ট করার মতো বিস্ফোরক অভিযোগ উঠল পেশায় প্রাইমারি শিক্ষক স্বামীর বিরুদ্ধেই।
অভিযোগ নিয়ে ইতিমধ্যেই মেদিনীপুর কোতোয়ালি থানার দ্বারস্থ কাকলি সামন্ত দাস নামে শালবনি পঞ্চায়েত সমিতির অন্তর্গত বিষ্ণুপুর ২ নম্বর অঞ্চলের পঞ্চায়েত সদস্যা। অভিযোগ, কাকলি সামন্ত দাসের সঙ্গে শালবনির ভাউদী প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক শান্তনু দাসের বিয়ে হয় ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে।
এরপর থেকে মেদিনীপুর শহরের রাঙামাটিতে ভাড়াবাড়িতে কাকলিদেবীর সঙ্গে সংসার পেতেছিলেন শান্তনু দাস। দিন কয়েক সব ঠিকঠাক থাকার পরেই কাকলি সামন্ত দাসের উপরে অত্যাচার শুরু হয় বলে অভিযোগ। নিত্যদিন শারীরিক অত্যাচারের পাশাপাশি চলতি বছর জুলাই মাসে তাকে ভুল বুঝিয়ে ঔষুধ খাইয়ে গর্ভপাত করানো হয় বলে অভিযোগ কাকলি সামন্ত দাসের।
…………………….Advertisement…………………….
এরপরই তিনি মেদিনীপুর কোতোয়ালি থানায় শান্তনু দাসের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। যদিও ঘটনার পর থেকেই মেদিনীপুর ছাড়া শান্তনু দাস। ঘটনার পর পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগও তুলেছেন তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যা। দলের শীর্ষ নেতৃত্বকে ইতিমধ্যেই গোটা বিষয়ে জানিয়েছেন কাকলি সামন্ত দাস। পাশে থাকার বার্তা দিয়েছে দলীয় নেতৃত্ব। অভিযুক্তের অবিলম্বে শাস্তির দাবি জানিয়েছেন শালবনি পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি তথা তৃণমূল নেত্রী মিনু কোয়ারী।
দলের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি যদি “ডোমেস্টিক ভায়োলেন্স”এর শিকার হয় তবে সাধারণ মহিলার সুরক্ষা কোথায় প্রশ্ন তুলছে বিভিন্ন মহল। ঘটনা নিয়ে রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে জেলার রাজনৈতিক মহলে