বয়স্কদের মধ্যে খবু পরিচিত রোগ হল আলঝাইমার (Alzheimer Disease) বা স্মৃতিভ্রংশ। কিন্তু বিশ্বে ৩০-৬০ বছর বয়সী প্রায় ৩৯ লক্ষ মানুষ এই রোগে আক্রান্ত। এর মানে হল যে এই রোগটি ৩০ বছর বয়সী তরুণদের মধ্যেও হতে পারে। একটি নতুন গবেষণা অনুসারে, অল্পবয়সীদের মধ্যে আলঝেইমারের লক্ষণগুলি আলাদা। এতে তাদের ফোকাস কোনও কিছুতে তৈরি হতে পারে না বা শারীরিক ভাষার অবনতি হতে পারে। এর ফলে তাদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটে। প্রাপ্তবয়স্কদের এই সমস্যায় ভুগতে হয়। যাইহোক, এখন ভারতীয় বিজ্ঞানীরা এই রোগের একটি নিরাময় খুঁজে পেয়েছেন। এমন পরিস্থিতিতে আসুন জেনে নেওয়া যাক আলঝেইমার কী, মোট কতজন রোগী রয়েছেন এবং এর নতুন চিকিৎসা কী।
দুনিয়ায় কতজন আলঝাইমারের শিকার?
আলঝেইমার রোগ (Alzheimer Disease) একটি গুরুতর স্নায়বিক অবক্ষয়জনিত রোগ। বিশ্বজুড়ে ৫.৫ কোটিরও বেশি মানুষ আলঝেইমার এবং ডিমেনশিয়া রোগে ভুগছেন। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, প্রতি বছর ১ কোটিরও বেশি মানুষ আলঝেইমার এবং ডিমেনশিয়ার শিকার হচ্ছেন।
আলঝাইমার কেন বিপজ্জনন?
আলঝেইমার (Alzheimer Disease) হল মস্তিষ্কের একটি রোগ যার ফলে মস্তিষ্কের কোষগুলি সঙ্কুচিত হয়ে মারা যায়। কিছু মনে রাখা, চিন্তা করা বা কিছু সম্পর্কে চিন্তা করা সম্ভব নয়। আলঝেইমারের গুরুতর ক্ষেত্রে, ডিমেনশিয়ার ঝুঁকি থাকে। লক্ষণগুলি কমাতে এবং এর ফলে সৃষ্ট সমস্যাগুলি প্রতিরোধ করতে কিছু ওষুধ নেওয়া হয়। এখন ভারতীয় বিজ্ঞানীরা এই রোগের চিকিৎসায় ব্যাপক সাফল্য পেয়েছেন।
পুনের আগরকর রিসার্চ সেন্টারের বিজ্ঞানীরা আলঝেইমার (Alzheimer Disease) রোগের চিকিৎসার জন্য নতুন মলিকিউল তৈরি করেছেন। প্রসাদ কুলকার্নি এবং বিনোদ উগালে নামে দুই বিজ্ঞানী কৃত্রিম, গণনামূলক এবং ইন-ভিট্রো গবেষণার সাহায্যে নতুন মলিকিউলগুলির নকশা ও সংশ্লেষণ করেছেন। তারা বলে যে এই অণুগুলি অ-বিষাক্ত এবং আলঝেইমারের (Alzheimer Disease) চিকিৎসায় কার্যকর হতে পারে। বিজ্ঞানীরা দেখেছেন যে এই অণুগুলি কলিনেস্টেরেজ এনজাইমের বিরুদ্ধে কার্যকর। এগুলি ব্যবহার করে ওষুধ তৈরি করা যেতে পারে, যা এই রোগ নিরাময়ে কার্যকর হতে পারে।
অস্ট্রেলিয়ায় আরেকটি গবেষণায় দেখা গেছে যে আলঝেইমার (Alzheimer Disease) রোগীদের তাদের খাদ্য এবং জীবনযাত্রার উন্নতির দিকে মনোনিবেশ করা উচিত। তাদের নিয়মিত ব্যায়াম করা উচিত। এছাড়াও, সামাজিক হওয়া, পড়া, নাচ, গেম খেলা বা কোনও বাদ্যযন্ত্র বাজানোও এই গুরুতর রোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করতে পারে।