ভারতের রপ্তানিকারকদের জন্য সুখবর। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেনে ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের ছোট পণ্য বিক্রি করতে ভারতীয় রপ্তানিকারকদের সহায়তা করবে ই-কমার্স জায়ান্ট অ্যামাজন (Amazon)। অ্যামাজনের গ্লোবাল সেলিং প্রোগ্রামের অধীনে, ভারত থেকে প্রায় ১.৫০ লক্ষ ছোট রপ্তানিকারকরা তাদের পণ্যগুলি সরাসরি বিদেশী গ্রাহকদের কাছে বিক্রি করতে পারবেন। ২০১৫ সালে অ্যামাজন তাদের গ্লোবাল সেলিং প্রোগ্রাম চালু করে।
আমাজনের (Amazon) এই সিদ্ধান্ত চিনের জন্য সবচেয়ে বড় ধাক্কা হতে চলেছে। কারণ, এর আগে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক ছোট টিকিটের পণ্য চিন থেকে আনা হত। কিন্তু বিশ্ব সরবরাহ শৃঙ্খলে ভারতের ক্রমবর্ধমান আধিপত্যের মধ্যে, বড় বহুজাতিক সংস্থাগুলি এখন চিন থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করছে। বর্তমানে নতুন দিল্লিতে রপ্তানিকারকদের যে বৈঠক চলছে, সেখানে যোগ দিতে এসেছেন আমাজনের (Amazon) গ্লোবাল ট্রেড ডিরক্টর ভূপেন ওয়াকানকর, তিনি বলেন, আমরা এমন সরঞ্জাম ও প্রযুক্তিতে বিনিয়োগ করছি যা বিক্রেতাদের তাদের প্রসার বাড়াতে, পণ্য আবিষ্কারের সঙ্গে বিক্রয় বাড়াতে সক্ষম করে।
সংস্থাটি এক বিবৃতিতে বলেছে, অ্যামাজন (Amazon) ২০২৪ সালের মধ্যে হাজার হাজার ভারতীয় ব্যবসাকে ই-কমার্স রফতানি ১৩ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করতে সহায়তা করার পথে রয়েছে। আমাজন ভারতের বাণিজ্য মন্ত্রক এবং বাণিজ্য সংস্থাগুলির সঙ্গে অংশীদারিত্ব করেছে, যাতে সারা দেশের ছোট ছোট উৎপাদন সংস্থাগুলিকে সংযুক্ত করা যায়, যারা বস্ত্র থেকে শুরু করে গহনা, গৃহস্থালীর জিনিসপত্র এবং আয়ুর্বেদ পণ্য সরবরাহ করে। এই ধরনের পণ্য সরাসরি গ্রাহকদের কাছে বিদেশে পাঠানো সহজ এবং আমদানি করের দ্বারা প্রভাবিত হয় না।
২০২০ সালে ওয়ালমার্ট আরও বলেছিল যে ২০২৭ সালের মধ্যে ভারত থেকে সরবরাহ বাড়িয়ে ১০ বিলিয়ন ডলার করা হবে, যা তখন ছিল ৩ বিলিয়ন ডলার। অ্যামাজন (Amazon) এবং ওয়ালমার্টের ফ্লিপকার্ট সাম্প্রতিক বছরগুলিতে ভারতের খুচরো ব্যবসার ধরণ বদলে দিয়েছে। ছোট ব্যবসার সরবরাহের জন্য কোটি কোটি ডলার বিনিয়োগ করেছে এবং ভোক্তাদের মোটা ছাড় দিয়ে আকৃষ্ট করেছে।