শুক্রবার সকালে সর্বভারতীয় কংগ্রেস কমিটি (এআইসিসি) আমেঠি (Amethi Lok Sabhaa Candidate) এবং রায়বেরেলি আসন থেকে কংগ্রেস প্রার্থী হিসেবে কারা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন, তা স্পষ্ট করে দিয়েছে। কংগ্রেস অমেঠির পরিবর্তে রায়বেরেলি থেকে রাহুল গান্ধীকে প্রার্থী করেছে, অন্যদিকে কিশোরীলাল শর্মাকে আমেঠি থেকে টিকিট দেওয়া হয়েছে। যেহেতু সকলের চোখ আমেঠি আসনের প্রার্থীর নাম ঘোষণার দিকে ছিল, তাই এখন সকলের চোখ কেএল শর্মার নাম ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে তাঁর দিকে।
এখন যেহেতু কংগ্রেস তাঁর নাম ঘোষণা করেছে, কে এল শর্মা বিজেপির স্মৃতি ইরানির বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে রাহুল গান্ধীকে পরাজিত করেন স্মৃতি। সবার আগ্রহ এখন আমেঠির কংগ্রেস প্রার্থীকে নিয়ে, যাকে গুরুত্বপূর্ণ এই আসন থেকে লড়াইয়ের দায়িতে দিয়েছে কংগ্রেস।
অমেঠির কংগ্রেস প্রার্থী কে এল শর্মা কে?
কিশোরীলাল শর্মা, যিনি কে এল শর্মা নামেও পরিচিত, গান্ধী পরিবারের ঘনিষ্ঠ সহযোগী। তিনি দীর্ঘদিন ধরে রায়বেরেলিতে সোনিয়া গান্ধীর প্রতিনিধিও ছিলেন। তাঁর সময়টি এমন যে যখনই গান্ধী পরিবার সম্পর্কিত বিষয়গুলির কথা আসে, কিশোরীলাল শর্মা রায়বেরেলি এবং আমেঠিতে পয়েন্ট-পার্সন হন, অর্থাৎ দলের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি।
পঞ্জাবের বাসিন্দা কেএল শর্মা। ১৯৮৩ সালে কংগ্রেস কর্মী হিসেবে তিনি প্রথম আমেঠিতে আসেন। তিনি কংগ্রেস নেতা এবং প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী (প্রয়াত) রাজীব গান্ধীর ঘনিষ্ঠ ছিলেন। আমেঠিতে থেকেই তিনি দলের জন্য দৃঢ়ভাবে কাজ চালিয়ে যান এবং ১৯৯১ সালে রাজীব গান্ধীর মৃত্যুর পর তিনি আমেঠিতে কংগ্রেসকে শক্তিশালী করার জন্য কাজ চালিয়ে যান। তিনি অন্যান্য কংগ্রেস প্রার্থীদের পক্ষে প্রচার চালিয়ে যান। ১৯৯৯ সালে সোনিয়া গান্ধীর প্রথম নির্বাচনী প্রচারে কিশোরীলাল শর্মা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। সেবার আমেঠিতে জয়ের মাধ্যমে সোনিয়া গান্ধী প্রথমবার সংসদ সদস্য হন।